পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभन। নাড়িয়া তাহাকে বাতাস করিতেছে আর করুণা তাহার আলুলায়িত রুক্ষ কেশরাশির মধ্য দিয়া নিজের ছোট ছোট অঙ্গুলিগুলিকে চালন: করিতেছে। তিন জনেই নীরব । কিছুক্ষণ পরে একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া, পাশ ফিরিয়া শুইয়া কমল বলিল,—“কৈ ঠাকুরপো ত আজও এলেন না,-কোন খবরও দিলেন না । বোধ হয় তার দেখা পান নি।--তঁাদের কারু সঙ্গে বোধ হয় আর এখানে দেখা হল না !”-এই কথা বলিয়া, আবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া সে পাশ ফিরিয়া শুইল । চুপ করিয়া একটু শুইয়া থাকিয়াই আবার পাশ ফিরিয়া কমলা উপাধানতল হইতে একখানা পত্র বাহির করিয়া বলিল, “এ চিঠিখানা তা হ’লে, করুণা, তৈার কাছেই রেখে দে, বোন। যা ব’লেছি—যদি ম’রে যাই, হেমন্তকে দিয়ে তঁর বাড়ীর ঠিকানা লিখিয়ে ডাকে ফেলিয়ে দেওয়াস!— 'আর যদি বেঁচে উঠি ত তার দরকারই হবে না।” শেষ কথাটা বলিয়া কমলা স্নানমুখে একটু হাসিয়া পত্ৰখানা করুণার কাছে রাখিয়া দিল । করুণ কঁাদ কঁাদ হইয়া,-“আমি এ চিঠি রাখতে চাই না”-বলিয়া সেখানাকে কমলাকে ফিরাইয়া দিল, এবং চােখে আঁচল চাপা দিয়া, ফোঁপাইয়া ফোপাইরা কঁড়িতে আরম্ভ করিল। কমলা নিজের শীর্ণ বাহুখানিতে করুণার গলা জড়াইয়া ধরিয়া তাহার মুখখানিকে নিজের বুকের উপরে টানিয়া লইল এবং তাহার চুলের উপরে ধীরে ধীরে হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল, “কঁাদিস নি, করুণা!-কেন কঁদিস ?-আমার কি মরণ আছে রে পাগল ?” নীরদাও আঁচলে চোখ মুছিতে মুছিতে বলিল, “ন-আমি এ , ভাল R@ 8)