পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা একটি দিনও বিলম্ব করিতেন না । সময়ে সময়ে তাহার মনের মধ্যে কেমন একটা রাগ উপস্থিত হয়, কিন্তু কাহার উপরে রাগ করিয়া কি করিবেন। তাহা ভাবিয়া পান না । বালক রাগের বশে খেলনা ভাঙ্গিয়া যেমন ফুটিয়া কঁাদিতে পারে না, ভাঙ্গা খেলনার দিকে চাহিয়া রাগে ও দুঃখে ফুলিতে থাকে, তঁহার মনের অবস্থাটাও যেন কতকটা সেই রকমের হইয়া পড়িয়ছিল । তরঙ্গিণীর পত্রে বাড়ী ফিরিয়া সুধাংশু যখন চূড়ামণিকে লইয়া কমলার সন্ধানে বাহির হয়, তখন সে রাগ করিয়া নীলকমলকে গোটাকতক বড় কড়া কথা শুনাইয়া গিয়াছিল । সে কথাগুলিও সময়ে সময়ে র্তাহাকে কিছু অপ্রকৃতিস্থ করিয়া থাকে। সুধাংশুর স্বভাবের কথা ভাবিয়া নিদ্রাতেও তিনি নিৰ্ভয় হইতে পারেন না ; চক্ষু মুদিলেই স্বপ্ন দেখেন, যেন সে একটা পিস্তল লইয়া তাহাকে গুলি মারিতে আসিতেছে! মধ্যাহ্নে একদিন নীলকমল অন্তঃপুরে বসিয়া তামাকু টানিতে টানিতে কি চিন্তা করিতেছিলেন । কাত্যায়নীও সেই ঘরে কি একটা কাজ লইয়া বসিয়া ছিলেন। সেই সময়ে সুধাংশু অকস্মাৎ আসিয়া সেই কক্ষে প্ৰবেশ করিল এবং কাহারও অভ্যর্থনার অপেক্ষা না করিয়াই নীলকমলের আসনের একাধারে বসিয়া পড়িল । তাহাকে দেখিয়া নীলকমলের মুখখানা মান হইয়া গেল, আর কাত্যায়নীর মুখের উপরে যেন সন্ধ্যার মেঘ •ाभिग्ना पालि । নীলকমল চকিতে একবার সুধাংশুর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া আপনার মনে কি ভাবিতে ভাবিতে তামাকু টানিতে লাগিলেন। সুধাংশুর মুখের ভাবে কিন্তু তাঁহার এমনটা বোধ হইল না যে, সে প্ৰতিশোধের রুদ্রমূৰ্ত্তি লইয়া আসিয়াছে; বরং মনে হইল, তাহার এ অভিযানের অভিপ্ৰায় বিগ্ৰহই २७० ]