পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঠ করিয়া ধরিয়া, একটু টানিয়া ছাড়িয়া দিতেছিলেন। চূড়ামণির আচরণ ও হরকুমারের অত্যাচারের কথা শুনিতে শুনিতে র্তাহার দীর্ঘলোমযুক্ত ভ্ৰাদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানটুকু একেবারে সঙ্কুচিত হইয়া পড়িল, আর সমস্ত মুখখানা যেন কুপিত-কপি-কপোলের ন্যায় তামবৰ্ণ হইয়া উঠিল। একমুঠ চুল ধরিয়া এমন টান দিলেন যে, অনেকগুলি চুল মুঠার ভিতরে উঠিয়া আসিল । গম্ভীরস্বরে চাকরকে ডাকিয়া তামাকু আনিতে বলিয়া, তিনি তাকিয়াটা কোলের উপরে তুলিয়া লইলেন এবং কুকিয়া বসিয়া কি ভাবিতে লাগিলেন । সুধাংশু বলিল, “র্তাকে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনবার জন্যে আমি অনেক সেধেছিনু । আপনি তাকে কি সত্যের বাধনে বেঁধে রেখেছেন-জানি না, আপনি না গেলে আর কারও কথাতেই তিনি আসবেন না৷ ” কাত্যায়নী এতক্ষণ ঘাড় গুজিয়া বসিয়াছিলেন, কমলাকে ফিরাইয়া আনিবার কথা হইতেছে শুনিয়াই তিনি মাথা তুলিয়া বলিলেন, “তাই ত— ত আর নয় ?--যে বউ একবার ঘরের বা’র হ’য়ে গেছে, তাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে না কি ?--নোকে মুখ পুড়িয়ে দেবে না ?” সুধাংশু। মুখ পোড়বার যে আর কি বাকী আছে তা ত দেখতে পাই না! সে ভয় আর নেই, কাকী-মা ! মিথ্যের জয় ক’দিন ?- শেষ-জয় সত্যের। মিথ্যে বা অপকৰ্ম্ম যে যতই লুকিয়ে করুক, তা বেশী দিন চাপা থাকে না। সত্যিটা এখন সকলেই বুঝে নিয়েছে। এখন লোকে কি বলে তা শুনতে পাও কি ? কাত্যায়নী মুখখানাকে ঘুরাইয়া৷-“নোকে অমন সব বলে গো-তখন আবার কি বলে তা শুনো তখন”-বলিয়া, সে ঘর ছাড়িয়া বাহিরে চলিয়া গেলেন। ૨૭ર.]