পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা At লইয়া উঠিল এবং নিজের শয়নকক্ষে আসিয়া, দ্বার রুদ্ধ করিয়া পড়িতে বসিল । পত্ৰখানা এইরূপ :- “কমলার নাথ—জানি না, তুমি আজ কত দূরে-কোথায়—কি ভাবে ঘুরিয়া বেড়াইতেছ! যত দূরে—যেখানে—যেভাবেই থাক, একদিন বাড়ীতে ফিরিবে ; সেই সময়ে @रे পত্র তোমার হাতে পড়িবে। হাতে পাইয়াই যেন রাগ করিয়া ছিড়িয়া ফেলিও না! তোমার অভিমান বৃথা৷-“কলঙ্কিনী” হইলেও তোমার কমলা অবিশ্বাসিনী নহে। তুমি যেদিন আমাকে ‘কলঙ্কিনী’ বলিয়াছিলে, তাহার পূর্বেই কেন আমার মরণ হয় নাই ? কেন সেই দণ্ডেই মরিতে পারিলাম না ? মুচ্ছ আসিয়াও কেন আমাকে ছাড়িয়া গেল ? ‘কলঙ্কিনী” বলিয়া নিরাশ্রয়ে ফেলিয়া যাইবে-তাহাই যদি তোমার’ মনোছিল, তবে কেন আমার মুচ্ছ ভাঙ্গাইতে যত্ন করিয়াছিলে ? কেন পায়ে করিয়া গঙ্গার জলে ভাসাইয়া দিয়া গেলে না ? তোমার দোষ নাই-আমি সব শুনিয়াছি। তুমিও যেদিন সব শুনিবে, বুঝিতে পরিবে-চলিয়া আসাতে আমারও বেশী দোষ ছিল না ; এক দোষ যে, তঁহাদের কথা শুনিয়া তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলিয়া আসিয়াছিলাম। র্তাহারা যে বলিয়াছিলেন, তাহাতেই সংসারের মঙ্গল হইবে।--তুমি সুখী হইবে! তুমিও তা কতদিন বলিয়াছ—“নিজের সুখ খুজতে গিয়ে কখন কারকে খ দিও না ! অন্যের যাতে এতটুকু দুঃখেরও সম্ভাবনা আছে, তেমন কিছু ক’রে কখন সুখী হ’বার ইচ্ছে ক’রো না! তেমন সুখ নিয়ে কেউ কখন সুখী হ’তে পারে নি। পরের সুখ খুঁজতে গিয়ে যদি দুঃখও পাওতাই ক’রে । সে দুঃখেও সুখ আছে-মঙ্গল আছে, তাতে বিধাতার --