পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काठल ঠয় করা যাবে । কিন্তু তাদের সঙ্গে এখন আর আমাদের কোনও সংস্রাব বাপু চ’লবে না-চিঠি পত্ৰ পৰ্য্যন্ত না-বুঝেছ বিরাজ ?” বিরাজ এতক্ষণ একটা দ্বারুের পার্শ্বে অবনতমস্তকে দাড়াইরা ছিল, কোন কথা কাছে নাই ; এখন পিতার আদেশ শিরোধাৰ্যা করিয়া নতিমুখে শুধু বলিল, “সে আজ্ঞে ।” কাতায়নী অর্থপূর্ণদৃষ্টিতে মোহিনীর মুখের দিকে চাহিয়া মৃত্যু হাসিলেন । নীলকমল ফড়িৎ ফড়িাৎ করিয়া চোয়া তামাকের ধোয়া টানিতে লাগিলেন । সুধাংশু অস্থির পদে বারাণ্ডায় পাই চালি করিতেছিল ; বিরাজের ‘যে আঞ্জে’ শুনিয়াই সে দ্রুতপদে নামিয়া একবারে বাড়ীর বাহিরে চলিয়া গেল। তিরঙ্গিণী কোথায় ছিল, সুধাংশুকে হন হন করিয়া একমনে চলিয়া যাইতে দেখিয়া, তাতার পশ্চাতে একটু ছুটিয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বিচারে কি দণ্ড হ’ল, ঠাকুরপো ?” “যাবজীবন নিৰ্বাসন” বলিয়াই সুধাংশু চলিয়া গেল-ফিরিয়া চাহিল। না। তরঙ্গিণীও চক্ষু মুছিতে মুছিতে নিজের বাড়ীতে প্ৰবেশ করিল। У о কয়েকদিন বৃষ্টি হয় নাই। আকাশ মেঘমুক্ত-নিৰ্ম্মল। পশ্চিম দিগন্তে কেবল একখানা শাদা মেঘ স্থির হইয়া বুলিয়া ছিল। দিগন্তের তরুগুলি মেঘের কোলে মাথা তুলিয়া স্থির হইয়া দাড়াইয়া ছিল। সন্ধ্যার রবি তরুমালার পশ্চাতে নামিয়া সেই শুভ্ৰ মেঘ-পটে বিবিধ বর্ণের বহুবিধ চিত্র অঙ্কিত করিতেছিল। সুধাংশু গঙ্গাতীরে আসিয়া, সেই অস্তমিত সুৰ্য্যের বিলীয়মান বর্ণচ্ছটার প্রতি নিৰ্ণিমেষনেত্ৰে চাহিয়া চিত্ৰাপিতের ন্যায় বসিয়া ՀՀ