পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ অগ্নি গুপ্ত ও দৈবজ্ঞ 織 পাটলিপুত্র নগরের નજી রাজপথে শত শত নাগরিক ইতস্ততঃ চলিয়াছে, দিবসের দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইয়াছে। রাজপথের একপাশ্বে একজন গ্রহণচাৰ্য্য ছত্রের নিম্নে আসন পাতিয়া উপবেশন করিয়াছে, বহু পুরুষ ও স্ত্রা ভাগ্য-গণনা করাইবার জন্য তাতাকে বেষ্টন করিয়াছে। একজন যোদ্ধা গঙ্গাস্নান করিয়া দেব-দর্শনে যাইতেছিল, সে জনতা দেখিয়া একজন নাগরিককে কারণ জিজ্ঞাসা করিলু এবং নাগরিকের মুখে জনসমাগমের কারণ শুনিয়া জনতার মধ্যে প্রবেশ করিল। গ্রহাচাৰ্য্য তখন একটি সুন্দর রমণীর হস্ত-পরীক্ষা করিতেছিল, কিন্তু সে সৈনিকের মুখদর্শনমাত্র বলিয়া উঠিল, “তুমি কেন আসিয়াছ ? আমি তোমার অদৃষ্ট-গণনা করিতে পারিব না ।” সৈনিক বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল “কেন পরিবে না ?” “অপ্রিয় কথা বলিতে নাই।” “আমি যুদ্ধ ব্যবসায়ী, খড়গ আমার উপাধান, আমাদের প্রিয় অপ্রিয় নাই।” “বন্ধু, আমি অদৃষ্টহস্তলিখিত গ্রন্থ পাঠ করিয়া থাকি, আমার অপরাধ গ্রহণ করিও না ।” “অপরাধ আমার অদৃষ্টের, বন্ধু, তুমি অপ্রিয় সত্য প্রকাশ করিতে কুষ্ঠিত হই ও না ।” * “তুমি শীঘ্র যুদ্ধে যাইবে।” “আনন্দের কথা, অনেক দিন তরবারি নররক্ত পান করে নাই।” “তুমি অদ্যই যুদ্ধ-যাত্রা করিবে।” “অদ্যই ?” “অদ্যই।” “ক’বে ফিরির ?” “আর ফিরিবে না।”