পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ মা জুই ল। 德 বারাণসা নগর প্রান্তে সেই রমণীয় উদ্যানে—সেই অশোকতরত: বসিয়া ইন্দ্ৰলেখা ও চন্দ্রসেন নিবিষ্টচিত্তে বিপ্পবৃক্ষমূলে শেনরত কাপালিকের কায্যকলাপ নিরীক্ষণ করিতেছিল। তখন ও অমাবস্ত্যা আছে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, মধ্যে মধ্যে সৌদামিনীর উজ্জল রূপরাশি নিমিসের জন্য অন্ধকারের ঘন আবরণ ভেদ করিবার চেষ্টা করিতেছে । বিম্ববৃক্ষমূলে পঞ্চহস্ত পরিমিত বেদীর উপর অগ্নি প্রজালিত ষ্টয়াছে, কাপালিকের দক্ষিণপাশ্বে কলসময় রত ও বামপাশ্ন কলসপূর্ণ সুরা । অন্ধকার রজনীতে তমসাচ্ছন্ন উষ্ঠানমধ্যে রক্তবসন-পরিঙ্গিত সুরারক্তনেত্র কৃশকায় কৃষ্ণবর্ণ কাপালিক প্রেতবং প্রতীয়মান হষ্টতেছিল । রজনীর প্রথম প্রহর শেষে কাপালিক ডাকিল, “ইন্দ্ৰলেখা, উঠিয়া আয় ” ইন্দ্ৰলেখা বিল্পবৃক্ষমূলে আসিলে কাপালিক জিজ্ঞাসা করিল, “তোর কন্যার শত্রু কে ?” ইন্দ্রলেখা কহিল, “রমণী।” “সে কে ?” “কস্তার বাঞ্ছিতের পত্নী।” “সে কি করিয়াছে ?” , “তাহার জন্য অনন্ত৷ পতিলাভ করিতে পারিতেছে না।” “তাঙ্গর কেশ আনিয়াছিস্ ?” “ši lo ইন্দ্রলেখা বস্ত্রমধ্য হইতে রজতনিৰ্ম্মিত একটি ক্ষুদ্র কোটা বাহির করিল এবং তাঙ্গ হইতে একগাছি দীর্ঘ কেশ বাহির করিয়া কাপালিকের হস্তে দিল । কাপালিক তাহা গ্রহণ করিয়া পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, “এই রমণী কি কলহপ্রিয়া/* ইন্দ্রলেখার হৃদয় কম্পিত হইল, সিদ্ধগণিকা