করুণা 8 من لا অভিপ্রেত সাধনের জন্য অনায়াসে মিথ্যা কহিল, “হঁ৷ ” “তাঙ্গর স্বভাব কি ক্রুর ?” “অত্যন্ত ।” “সতা বলিতেছিস্ ? অগ্নিদেবতার সম্মুখে মিথ্যা কষ্টিলে জাবন্ত নরকভোগ করিবি ।” “সত্য বলিতেছি ” “মিথ্যা কহিলে জীবিত অবস্থায় শৃগাল কুকুরে তোর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করিবে ।” “সত্য বলিতেছি ।” “অগ্নি স্পর্শ করিয়া শপথ কর।” পাষাণঙ্গদা নারীর হৃদয় ভয়ে অভিভূত হইল, ইন্দ্ৰলেখার হস্ত কম্পিত হইল। তাঙ্গ দেখিয়া কাপালিক পুনরায় কহিল, “শপথ কর।” তাহার বজুনিঘোষের ন্যায় গষ্ঠীর কণ্ঠস্বর উষ্ঠান কম্পিত করিল, সে পুনরায় কঠিল, “শপথ না করিলে অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত হুইবে ।” তথন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সাহসে ভর করিয়া ইন্দ্ৰলেখা দক্ষিণহস্তে অগ্নিকও স্পর্শ করিল, তাহ দেখিয়া কাপালিক কহিল, “বামহস্তে ।” ইন্দ্রলেখ বামহস্ত দিয়া অগ্নিকুণ্ড স্পর্শ করিয়া কঠিল, “অগ্নিদেবতা স্পর্শ করিয়া কহিতেছি, অনস্তার বাঞ্ছিতের ধৰ্ম্মপত্নী কলহপ্রিয়া ও ক্রুরস্বভাবা, সে অনন্তাকে তা করিতে চাহে ।” কাপালিকের রেখাঙ্কিত ললাট রেখাশূন্ত হইল। ইন্দ্রলেখ বিম্ববৃক্ষমূল ত্যাগ করিয়া চন্দ্রসেনের নিকট পলায়ন করিল। দূরে বারাণসী নগরে তোরণে তোরণে ও শত শত দেবমন্দিরে প্রথম প্রহরের মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, সেই সময়ে একজন দীর্ঘাকার বস্ত্রাবৃত পুরুষ উদ্যানে প্রবেশ করিয়া মৃদুস্বরে ডাকিল, “ইন্দ্ৰলেখা!” ইন্দ্ৰলেখা তখন তীব্র কাদম্ব পান করিয়া শপথের ক্লান্তি ও ভীতি অপনোদন করিতেছিল, সে চমকিত হইয়া উঠিয় দাড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” চন্দ্রসেন অত্যন্ত ভীত হইয়া ইন্দ্ৰলেখার অঞ্চল আকর্ষণ করিতে করিতে কহিল, “কর কি ? নিশ্চয় উপদেবতা অথবা কৃষ্ণগুপ্তের অনুচর।” ইন্দ্ৰলেখা কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ়া হইয়া দাড়াইয়া রহিল। বস্ত্রাবৃত পুরুষ পুনরায় মৃদুস্বরে ডাকিল, “ইন্দ্রলেখ ” ইন্দ্রলেখা পাছে উত্তর দেয় এই ভয়ে চন্দ্রসেন ক্ষিপ্রহস্তে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭০
অবয়ব