প্রথম পরিচ্ছেদ ఫిసిసి হরি। যুবরাজ, গুপ্তবংশজাত কেহ বারবনিতার কন্যাকে পবিত্র আর্য্যপট্রে উপবিষ্ট দেখিতে পরিবে না অথবা বেঙ্গার উপপতির অধীনে অস্ত্ৰধারণ করিবে না । বন্ধু। ঘবরাজ, পাটলিপুত্রে বেশুাকন্ত আর্যাপট্টে উপবেশন করিতে পারে কিন্তু মালবে তাঙ্গ সম্ভব নতে উজ্জয়িনী বা দশপুর ইন্দ্রলেখার ক্যাকে অভিবাদন করিবে না । চক্রপালিত । সুবরাজ, পুরুষানুক্রমে গুপ্তবংশের সেবা করিয়াছি কিন্তু বেষ্ঠা কন্যার সেবা আনৰ্ত্তে বা সৌরাষ্ট্রে সম্ভব নহে। • স্কন্দ। বন্ধুগণ, সমস্তই সত্য কিন্তু মহারাজপুত্রের উপদেশ বিস্তৃত হইও,না, ক্ষণকালের জন্ত মগধ বিস্তৃত হও। ক্ষুদ্র মগধ উত্তরাপথের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র । বন্ধুগণ, আৰ্য্যাবৰ্ত্তবাসী আমাদিগকে পিতৃভূমির তোরণরক্ষায় নিযুক্ত করিয়াছে, তোরণপথ পরিত্যাগ করিও না, অভিমানে আত্মবিস্তৃত হইও না । তোমরা অস্ত্র পরিত্যাগ করিলে উত্তরাপুথে বা দক্ষিণাপথে এমন কে আছে যে, বালীকাতীরে আসিয়া উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিবে ? ভাসু । কেন চন্দ্রসেন ? যিনি তোমাকে বন্দী করিতে আদেশ করিয়াছেন, তিনিই চন্দ্রসেনকে তোরণরক্ষায় নিযুক্ত করিয়াছেন, তাহারই ইচ্ছা পূর্ণ হউক । স্কন্দ। ভানু, ইহা তোমার উপযুক্ত কথা নহে। পিতা বৃদ্ধ, যদি তাহার মতিভ্রম হইয়া থাকে, —যদি মন্ত্রণাভাবে সাম্রাজ্যের দণ্ড বিপথে চালিত হয়, তাঙ্গ হইলে কি তোমরা রোষে, ক্ষোভে, অভিমানে অস্ত্রত্যাগ করিয়া দূরে দাড়াইয়া থাকিবে, আর বন্দর হূৰ্ণ শস্যশ্রামলা পবিত্র আর্য্যভূমি পদদলিত করিবে ? সহসা বৃদ্ধ ভিক্ষুক যুবরুজকে দৃঢ় আলিঙ্গনপাশে বদ্ধ করিয়া বলিয়া উঠিল, “পুত্র, বহুদিন শুনি নাই। চন্দ্র গুপ্ত নাই, ধ্রুবস্বামিনী নাই, অগ্নিগুপ্ত নাই, বহুদিন মগধবাসী এমন কথা শুনে নাই। আবার বল,
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০৫
অবয়ব