পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ> ● করুণা গৌড়ের ভানুমিত্র, সৌরাষ্ট্রের চক্ৰপালিত, মালবের বন্ধুবৰ্ম্ম, হরিগুপ্ত, ভাস্করগুপ্ত, আদিত্য বৰ্ম্ম, কুমার হর্ষগুপ্ত ইহারা থাকিতে তুমি হইলে মহাবলাধিকৃত ?” “তুই জানি আমি কে ?” “এই মাত্র ত পরিচয় দিয়াছ চন্দ্ৰবদন, আবার কি বলিবে ?” “আমি মহারাজাধিরাজের শ্বশুর তাহা জানিস্ ?” “না জানিতাম না, তাহা হইলে তুমি আমারও শ্বশুর। বলি বস্ত্রমধ্যে কিছু লুকাইয়া আনিয়াছ না কি ? শ্বশুর মহাশয়, তিন দণ্ড পরিশ্রম করিয়া কণ্ঠ মরুভূমি হইয়াছে।” এই সময়ে একজন গোল্মিক সেই স্থানে আসিলেন, তাহাকে দেখিয়া চন্দ্রসেন জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে ?” গোল্মিক বিস্মিত হইয়া তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রছিল। চন্দ্ৰসেন উত্তর না পাইয়া অত্যন্তু ক্রুদ্ধ হইল এবং ইতর ভাষায় কহিল, “তুই কে রে বাপু ? তুই কি কালা ?” গোল্মিক কহিল, “আমি যে-ই হই, সে কথায় তোমার প্রয়োজন কি ? প্রহরী, এ ব্যক্তি কে ?” প্রহরী কহিল, “প্রভু এ নিশ্চয় পাগল, কথায় কথায় যুবরাজভট্টারকের নাম উচ্চারণ করিতেছে। জিজ্ঞাসা করিলে বলে যে, সে নুতন মহাবলাধিকৃত ” গোত্মিক অধিকতর বিক্ষিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাপু, তুমি কে ? কি উদ্দেশ্বে শিবিরে আসিয়াছ ?” চন্দ্রসেন কহিল, “আমি হ্রণযুদ্ধের নূতন মহাবলাধিকৃত, আমার নাম চন্দ্রসেন।” “মহাবলাধিকৃত, যুবরাজ ভট্টারকের কি হইয়াছে ?” “অনস্তার আদেশে স্কন্দগুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্ত পদচ্যুত, আমি হ্ণযুদ্ধের নূতন সেনাপতি নিযুক্ত হইয়াছি।” “অভদ্রোচিত ভাষা ব্যবহার করিবেন না, মহারাজপুত্র ও যুবরাজ ভট্টারকের নাম গ্রহণ করিলে সাম্রাজ্যের সেনা তাহা সহ্য করিবে না । আপনি যদি মহাবলাধিকৃত, তাহা হইলে নিশ্চয় আপনার নিকট আর্য্যপট্ট আছে ?” * , চন্দ্রসেন বস্ত্রমধ্য হইতে সুবর্ণনিৰ্ম্মিত আৰ্য্যপট্ট বাহির করিল, গোল্মিক ও প্রহরী তাহা দেখিয়া কোষমুক্ত অসি শিরস্ত্রাণে স্পর্শ করাইয়া অভিবাদন