পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ २b-१ এই সময়ে একজন দগুধর আসিয়া কহিল, “দেব, মহানায়িকা ও অমিয়াদেবী ধবলেশ্বর মন্দিরে পূজা করিতেছেন।” তাঙ্গ শুনিয়া বুদ্ধ কহিলেন, “অতি উত্তম কথা, পুত্র, চল দেবমন্দিরে কন্যা সম্প্রদান করিব।” বৃদ্ধের সঠিত দেবধর ধবলবংশের প্রাসাদের অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । পূজা সাঙ্গ হইলে মঙ্গনাগ্লিকা কস্তার হস্তধারণ করিয়া ব্যক্তিরে আসিলেন । দেবধর ভাবী শ্বশ্রীকে প্রণাম করিলেন । মন্দিরমধ্যে শিবলিঙ্গ স্পর্শ করিয়া যুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহানায়ক দেবধরকে কল্প সম্প্রদান করিলেন । পুরোহিত আসিলেন, বিবাহের দিন স্থির হইল। তিন দিন পরে বিবাহ হইবে, বিবাহ অবধি অমিয়াদেবী পিতৃগুহে অবস্থান করিবেন । তখন মহানায়িক ও পুরোহিত অন্তরালে গমন করিলেন, মন্দিরের গভগৃহে বরকন্যা মালা-বিনিময় করিলেন। দেবধর বহুমূল্য কণ্ঠহার পত্নীর কণ্ঠে পরাইয়া দিলেন । অমিয়াদেবী লজ্জিত ই চলেন, কারণ, তিনি পূজার পূৰ্ব্বে স্নানকালে সমস্ত অলঙ্কার ত্যাগ করিয়াছিলেন । দেবধর ব্যঙ্গ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “অমিয়া, আমাকে একটা নিদর্শন দিলে না ?” অমিয়াদেবী কহিলেন, “স্বামি, স্নানের পূৰ্ব্বে আমার অলঙ্কার সমস্তই ত ত্যাগ করিয়াছি, কি দিব ?” “এক গুচ্ছ কেশ দাও কণ্ঠে ধারণ করিব।” “এখানে ত অস্ত্র নাই, আপনার অসি একবার আমাকে দিন।” “কেন ?” “কেশগুচ্ছ কাটিব ।” দেবধর অসি কোষমুক্ত করিলেন, অমিয়াদেবী আপাদলম্বিত কেশরাশি হইতে একটি গুচ্ছ কৰ্ত্তন করিয়া পতির হস্তে অর্পণ করিলেন, দেবধর তাহা মাল্যবৎ কণ্ঠে ধারণ করিলেন। অমিয়াদেবী ওঁ মহানায়ক জয়ধবল, দেবের নিকট বিদায় লইয়া দেবধর গৃহাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পপে দক্ষিণ ও রাজগৃহ তোরণের রাজপথের সন্ধিস্থলে শিবিকার গতি রুদ্ধ হইল। অসংখ্য দগুধর ও প্রতীহার বেষ্টিত একখানি শিবিকা, পথের সন্ধিস্থলে বহু রথ, অশ্ব, গজ, উর্দু ও শিবিকার গতিরোধ করিয়া আছে। দেবধর