দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ মথুরার দুর্গপ্রাকার “তোমার মাতা, তোমার ভগিনী বৰ্ব্বর হণের কলুষিত করম্পর্শে অপবিত্র হইবে, তুমি কি তাহা দূরে দাড়াহুয়া দেখিবে ?” “কি করিব, যুবরাজ ?” “আমি আর যুবরাজ নঃি, পাটলিপুত্রে নুতন যুবরাজ জন্মিয়াছে। তুমি পুরুষ না রমণী ?” “পাটলিপুত্রে শত যুবরাজ জন্মাক তাহাতে ক্ষতি নাই, শকমণ্ডলে আপনি একমাত্র যুবরাজ । কি করিব, যুবরাজ, উপায় নাই, রক্ষা করুন। আমি যে মাতার একমাত্র পুত্র।” “যদি মাতার দশ পুত্ৰ থাকিত তাহা হইলে তাহারা যেমন করিয়া মাতাকে রক্ষা করিত, তোমার একাকী সেই রূপে মাতৃধৰ্ম্ম রক্ষা করা উচিত ।” “যুবরাজ, আপনার যুক্তি অখণ্ডনীয়, কিন্তু মাতৃচরণ স্পর্শ করিয়া শপথ করিয়াছি যে আর যুদ্ধ করিব না।” খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর তৃতীয় পাদে মথুরার রক্তবর্ণ দুর্গপ্রাকারের নিম্নে জনৈক খৰ্ব্বাকৃতি, গৌরবর্ণ, পিঙ্গলকেশ যুবা দ্বিতীয় যুবার সহিত তর্ক করিতেছিল। প্রথম যুবা দ্বিতীয়ের উত্তর শুনিয়া কহিল, “তোমার মাত৷ কোথায় ?” দ্বিতীয় যুবা কহিল, “বিপণীতে ” “চল, তোমার মাতার নিকটে যাই ।” “নাতার নিকটে ?” “হঁ৷ ” “মাতাকে কি এইখানে ডাকিয়া আনিব, যুবরাজ ?” “না, আমি তাহার নিকট ভিক্ষা চাহিতে যাইব ।” “কি ভিক্ষ ?” “অগ্রসর হও, পরে শুনিবে।” উভয়ে রক্তবর্ণ দুর্গপ্রাকার পরিত্যাগ করিয়া নগরে প্রবেশ করিলেন, বহু সঙ্কীর্ণ বক্রগতি পথ অতিক্রম করিয়া যমুনাতীরে প্রশস্ত রাজপথে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩১৪
অবয়ব