পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

!: করুণা এই সময়ে জনৈক ভিক্ষু আলোক হস্তে কক্ষে প্রবেশ করিল। সে দেখিল যে, অতিথি বিস্মিত হইয়া সঙ্ঘস্থবিরের মুখের দিকে চাহিয়৷ আছেন। সঙ্ঘস্থধির বলিতে লাগিলেন, “বিস্মিত হইবেন না, বহুকাল যাবৎ পুরুষপুর বিচারের সঙ্ঘস্থবিরগণ এই সংবাদের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছেন । শতাব্দীত্রয় যাবৎ গুরুপরম্পরাক্রমে আমরা শুনিয়া আসিতেছি, নাসিকাবিহীন বৰ্ব্বর জাতি বক্ষু পার হইলে আর্য্যাবৰ্ত্তের ও আর্য্যসঙ্ঘের সর্বনাশ হইবে—” { বিষ্ণুভদ্র বলিয় উঠলেন, “শুনিয়াছি পূৰ্ব্বে মহানদী বক্ষু নামে আখ্যাত হইত। কিন্তু আমি যে সংবাদ অতি গোপনে সংগ্ৰহ করিয়া সম্রাট সদনে লইয়া যাইতেছি, আপনি তাহা কিরূপে জানিলেন?” “গুরুর নিকট শুনিয়াছি মাত্র, বোধিসত্ত্ব নাগাজুন গণনা করিয়া এই কথা জানিতে পারিয়াছিলেন। শতবর্ষ পূৰ্ব্বে হ্রণ জাতি যখন উত্তরকুর অধিকার করে, তখন পুরুষপুরবিহারস্বামী অবগত হইয়াছিলেন যে, নাসিকাবিহীন বৰ্ব্বর জাতি বক্ষুর উত্তর তীর অধিকার করিয়াছে, তাহাদিগের নাম ‘হুণ । সেই ধি আমরা হ্রণ জাতির আগমনের প্রতীক্ষা করিতেছি ” “কেন ? “বোধিসত্ত্বপাদ নাগাৰ্জ্জুন ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন যে, এই নাসিকাবিষ্টন জাতিকর্তৃক কণিষ্ক চৈত্য বিনষ্ট হইবে।” “আশ্চৰ্য্য ! আপনার এই তিনশত বৎসর যাবৎ হ্ৰণ আক্রমণের প্রতীক্ষা করিতেছেন ?” “ই ।” “দেশ ও ধৰ্ম্মরক্ষার কোনও উপায়ালম্বন করিয়াছেন কি ?” “উপায় নাই বলিলেই হয়, কোন উপায়ে তৃণগণকে বক্ষুর পরপারে রাথিয়া আসিতে পারিলে সকল দিক রক্ষা হয়।” “এমন কাৰ্য্য কে সম্পন্ন করিবে ?” “না হইলে সমস্ত যাইবে।” “এখন গুপ্তবংশে সৰ্ব্বাপেক্ষা যোগ্য ব্যক্তি কে ?” “সৰ্ব্বপ্রথম মহারাজ-পুত্র গোবিন্দগুপ্ত ও পরে যুবরাজ স্কন্দগুপ্ত ” “মহারাজপুত্র কোথায় ?” “তিনি শকমগুলের মগুলেশ্বর এবং জালন্ধরে বাস করেন, তবে শুনিতেছি মহারাজপুত্র