করুণ। بنابرای না, তথাপি মনে ভাবিও না যে, কুমারগুপ্তের পুত্র যখন মহাপ্রলয়ের শেষ অঙ্ক অভিনয় করিবে, তখন পর্ণদত্তের পুত্র দুর্গপ্রাকারে নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়া থাকিবে ।” পশ্চাৎ হইতে ভানুমিত্র বলিয়া উঠিল, “আর আমি ?” অপরাত্নে পঞ্চশত মাগধর্সেন উঠু লইয়া ‘অগ্নিময় বালুকাক্ষেত্র পরি হইয়া যমুনা প্রবাহের দিকে ধাবিত হইল, উঃপুষ্ঠে চৰ্ম্মপেটিকায় পানীয় ংগৃহীত হইল, তখন চারিদিক হইতে তৃণ আসিয়া সেই ক্ষুদ্র বাহিনী বেষ্টিত করিল। অদৃষ্টহস্তচালিত উষ্ট্রুথ স্থঃ স্কন্ধাবারে চলিয়া গেল, পঞ্চশতের পঞ্চাশত জন মাত্র অবশিষ্ট রহিল, তখন চারিদিক হইতে শ্রাবণের বারিধারার ন্যায় শস্ত্র বর্ষিত হইতেছিল। দুর্গতোরণে অষ্টাদশ শর ভল্ল অসি বিদ্ধ হইয়া সৌরাষ্ট্রপতি চক্রপালিত স্বামীর দেহ রক্ষা করিলেন । সে দেহ তোরণের বহির্দেশে পতিত রঙ্গিল, এবং তাঁহারই জন্য সম্রাটু, ভানুমিত্র ও হর্ষ গুপ্ত প্রতিষ্ঠান দুগে পুনঃ প্রবেশ করিলেন। প্রভাতে প্রতিষ্ঠানদুর্গমধ্যে শত শত শঙ্খ বাজিয়া উঠিল, অবশিষ্ট কৃপোদক স্নানে ও পানে বায় করিয়া, আপাদমস্তক আবীর ও রক্তচন্দনে চচ্চিত হইয়া দুগরক্ষিসেনা প্রতিষ্ঠান দুর্গের দক্ষিণ তোরণে সমবেত হইল । তোরণের লৌহময় কপাটের পশ্চাতে সম্রাট, স্কন্দগুপ্ত, মহবলাধিকৃত ভানুমিত্র ও মহাকুমার অপেক্ষা করিতেছিলেন । সমস্ত সেনা আসিলে সম্রাট শিরস্ত্রাণ উন্মোচন করিয়া ঈষৎ হাসিলেন, তাহা দেখিয়৷ বৃদ্ধ সেনানীগণ শিহরিয়া উঠিল, স্কন্দগুপ্ত কহিলেন, “বন্ধুগণ, কুপোদক শেষ হইয়াছে, সুতরাং দুর্গ অরক্ষণীয়, অতএব হণযুদ্ধ শেষ হইয়াছে। চারিদিক হইতে থিঙ্খিৰ দুৰ্গ বেষ্টন করিয়াছে; এই হ্ৰণবেষ্টনী ভেদ করিয়া মগধে ফিরিতে হইবে, সুতরাং আজি সাম্রাজ্যের সেনার মহোৎসব। কুমার হর্ষগুপ্ত আমার ব্লামে ও ভানুমিত্র আমার দক্ষিণে থাকিবুেন, সমস্ত তরুণ সেনা মহাকুমার হর্ষগুপ্তের আজ্ঞাধীন হইবে।” হর্ষগুপ্ত বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা ক\িলেন, “তাত, তবে কি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯২
অবয়ব