পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ &bున মগধে প্রত্যাবর্তন করিবেন ?” , উভয় হস্তে কনিষ্ঠের কণ্ঠলিঙ্গন করিয়া সম্রাট কছিলেন, “মগধে ফিরিব না ত কোথায় যাইব ভাই ? মগধের রাজা মগধে না ফিরিয়া কি পুরুষপুরে যাইবে ?" সহসা উচ্চ হাস্তে প্রতিষ্ঠাননগরীর পাষাণময় তোরণ প্রতিধ্বনিত হইল, কুমার হর্ষগুপ্ত লজ্জিত হইলেন । এই সময়ে দুইজন বর্ষীয়ান সেনানায়ক অগ্রসর হইয়। কঠিল, “মঙ্গরাজাধিরাজ, আমরা অনেকে শতদ্র, বালীক ও রুক্ষপারে উপস্থিত ছিলাম, জীবনে তিনবার ঐ ভীষণ শস্ত শ্রবণ করিয়াছি, মঙ্গরাজাধিরাজের জয় হউক, আদেশ প্রতিপালিত হইবে।” স্কন্দগুপ্ত ক্ৰকৃটি করিলেন, নায়কদ্বযু অভিবাদন করিয়া পশ্চাৎপদ হইল । তথন সম্রাটু বলিতে আরম্ভ করিলেন, “অন্থকার যুদ্ধে শৃঙ্খলা অধিগুকি. যতক্ষণ আমি শঙ্খনাদ না করিব, ততক্ষণ যুদ্ধ করি ৪, শঙ্খধ্বনি করিলে ঘে যেদিকে পথ পাইবে, সেইদিকে পলায়ন করিও ।” কমার হর্ষ গুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “সমস্ত সেনা কোথায় গিয়া মিলিতু তইবে ?” সমাট আবার ঈষৎ হাসিলেন এবং কছিলেন, “পল্লপারে।” গ্রীষ্মের অপরাহ্লে দুর্গশীর্ষে প্রচণ্ড অগ্নিশিখা দেখিয়া তৃণসেনা বিস্মিত হইল ; প্রাসাদ, তোরণ, অলিন্ যেখানে সাঙ্গ কিছু অগ্নির ইন্ধন ছিল, তাঙ্গ বৈশ্বানরের কবলিত ; সে প্রচণ্ড দ্যপ্তিতে দূরদিগন্ত উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে ; দশব্দে কৌশলময় লৌস্তদ্বার মুক্ত হইল, কপাটের এক প্রান্ত পরিখার পরপর স্পশ কুরিল, ভাষণ জয়ধ্বনিতে গগন কম্পিত করিয়া পঞ্চসহস্ৰ সাম্রাজ্যের সেনা প্রতিষ্ঠানদুর্গের আশ্রয় পরিত্যাগ করিল। তখন হণসেনার চেতনা ফিরিল, তাহাৱা দূরে দাড়াইয়া দহমান প্রতিষ্ঠান দেখিতেছিল, জয়ধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি শুনিয়া অস্ত্র গ্রহণ করিতে ছুটিল। ক্ষুদ্র সাম্রাজ্যের সেন ভীষণ বেগে গঙ্গাযমুনাসরস্বতী-সঙ্গমস্থিত হণস্কন্ধাবার আক্রমণ করিল, স্কন্ধাবার জলিয়া खेठिंढ, তৃণসেন পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষা করিল l, د '