পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ ○ふ “ এখনই ।” বিষয়পতি বিষ্ণুভদ্রকে প্রণাম করিয়া সঙ্ঘস্থবিরকে অভিবাদন করিলেন, আগন্তুকগণ বিদায় গ্রহণ করিয়া মন্ত্রগুত পরিত্যাগ করিলেন । র্তাহারা গৃহত্যাগ করিয়া গেলে বিষয়পতি ডাকিলেন, “সিদ্ধবৃদ্ধি ” জনৈক সেনানায়ক মন্ত্রগুঙ্গে প্রবেশ করিয়া তাঙ্গকে অভিবাদন করিল। বিময়পতি তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সিদ্ধবৃদ্ধি, পাটলিপুত্রের নর্ভুকী কোথায় ?” “উত্তর তোরণের উদ্যানে।” “চল, আমি এখনই উষ্ঠানে যাইব ।” “প্রভু, নগরপাল বলিতেছিলেন যে বিশেষ প্রয়োজনীয় কাৰ্য্য—” “তাঙ্গকে বল সাক্ষাৎ হইবে না।” সপ্তম পরিচ্ছেদ তম রুক্ত লী সন্ধ্যাকালে পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদে গঙ্গাতীরে শুভ্ৰ-মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত অলিন্দে দুইটি যুবতী পাদচারণা করিতেছিল। গ্রীষ্মকাল, শীর্ণ গঙ্গাবক্ষ হইতে জলকণা-সিক্ত শীতল সান্ধ্য সমীরণ অলিন্দের বাতায়নপথে প্রবেশ করিয়া তাঙ্গদের চূর্ণকুন্তল ও বসনাঞ্চল লইয়া ক্রীড়া করিতেছিল। জ্যেষ্ঠ পূৰ্ণযুবতী ও পরমাসুন্দরী,—কনিষ্ঠাকে দেখিলুে এখনও বোধ হয় যে তিনি কিশোরী—প্রস্ফুটনোন্মুখী কুমুদিনী—সম্ভ লোবনসীমায় পদার্পণ করিয়াছেন । জ্যেষ্ঠ কনিষ্ঠার হস্ত ধারণ করিয়া বেড়াইতেছিলেন । কনিষ্ঠ প্ৰগলভার স্যায় তাহাকে বহু প্রশ্ন করিতেছিলেন, কিন্তু দুই একটি ব্যতীত উত্তর পাইতেছিলেন না । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “দিদি, এখন আর তোমাকে দেখিতে পাই না, তুমি আস না কেন ?” জ্যেষ্ঠা