পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* করুণ গিরিসঙ্কটের দুর্গগুলি দৃঢ়তর করুন, নগর ও প্রাকার সংস্কার করুন, নগরে আহাৰ্য্য সংগ্রহ করুন, অবরুদ্ধ হইলে যেন ক্ষুধাৰ্ত্ত নাগরিকগণের অনুরোধে আত্মসমৰ্পণ করিতে না হয় ।” “যথেষ্ট সময় আছে, আপনি ভীত হইবেন না । কোন ৪ বৰ্ব্ব রজাতি সঙ্গস মহারাজাধিরাজের অধিকার আক্রমণ করিতে ভরসা করিবে না ।” “ভট্টারক, আমি ত্ৰাহ্মণ, আমি নারায়ণ বাসুদেব হৃষীকেশ দামোদরের নাম গ্রহণ করিয়া শপথ করিতেছি, আমি অলীক ভয়ের বশবৰ্ত্তী হইয়া আর্য্যাবৰ্ত্তে আসি নাই । সাম্রাজ্যের ঘোর দিন আসন্ন। তৃণজাতি ঠুদ্ধম, অতি নিষ্ঠুরস্বভাব । তাঙ্গর এক বৎসরের মধ্যে উত্তরকুর পুরুষশূন্ত করিয়াছিল এবং পাঁচ বৎসর পরে শস্ত্য-স্যামল রাজ্য মরুভূমিতে পরিণত করিয়াছিল । বৃদ্ধ প্ৰাহ্মণের বাক্য বিশ্বাস করুন, এখন ও সময় আছে, সময় থাকিতে সাবধান হউন ৷” সঙ্ঘ । আপনি এই সংবাদ. জানাইবার জন্য জালন্ধরে মণ্ডলাপিপতি মহারাজ পুত্রের সমীপে যাইতেছেন ? বিষ্ণু হা । বিষয় । সে সংবাদ আমিই না হয় পাঠাইয়া দিতেছি । মহাশয় লাহ্মণ, বহুদূর পর্যটন করিয়া ক্লান্ত হইয়াছেন, কিছুদিন নগরে অবস্থান করির বিশ্রাম করুন। কুণগণ কখনই মহারাজাধিরাজ পরমেশ্বর পরমভট্টারকের পবিত্র অধিকারে পদার্পণ করিতে ভরসা করিবে না । বিষ্ণু । ভট্টারকু, আপনার সৌজন্যে প্রীত হইলাম। মঙ্গরাজপুত্র যদি আমার কথা বিশ্বাস না করেন, তাড়া হইলে আমাকে পাটলিপুত্রে যাইতে হইবে সুতরাং দূতমুখে সংবাদ প্রেরণ নিষ্ফল । বিষয়ুপতি আসন ত্যাগ করিয়া গাত্ৰোখান করিলেন। সঙ্ঘস্থবির ও বিষ্ণুভদ্রও তাহ দেখিয়া উঠিলেন। বিযয়পতি জ্বম্ভন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনারা কখন যাত্রা করিবেন ? সঙ্ঘস্থবির কহিলেন,