পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ 8○ তাঙ্গর উক্তি শুনিয়া করুণ ও অরুণা রোদন করিতে করিতে তাঙ্গকে জড়াইয়া ধরিলেন এবং তিন জনে নীরবে অশ্রু বিসজ্জন করিতে লাগিলেন"। এইরূপে দুই দণ্ড অতিবাহিত হইল । সহসা শত শত উস্কার উজ্জল মালোকে শ্রামাদেবীর পাষাণনিৰ্ম্মিত মন্তি উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। প্রত্যহার, মহল্লিকা, দণ্ডধর ও পরিচারকে প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ হইয়া গেল। করুণা ও অরুণা বিস্মিত হইয়া চাহিয়৷ দেখিলেন, একজন দীর্ঘাকার পুরুষ দ্বিতীয় ব্যক্তির হস্তাকর্ষণ করিতে করিতে মন্দিরের দিকে আদিতেছেন। করুণা ব্যস্ত হইল উঠিয়া দাড়াইয়া কহিলেন, “ম, পিতা আসিতেছেন। মহাদেব ক্ষিপ্ৰহস্তে, প্রতিমার হস্ত ষ্টতে পঢ়া লইয়া কঠিলেন, “করুণ, তবে অস্তই সব শেষ, স্কন্দকে বলিও গর সহিত সাক্ষাং ঠইল না ।” 烹 মুহূৰ্ত্তমধ্যে তীক্ষ্ণধার কৃপাণ মহাদেবীর বক্ষে অবতরণ করিল। অরুণা তাঙ্গ উভয় স্তে ধারণ করিলেন, কৃপাণুে কোমল অঙ্গুলিগুলি ক্ষত-বিক্ষত ইষ্টয়া গেল। সেই সময় মনিরুদ্বারে দাড়াইয়া দীর্ঘাকার পুরুষ জিজ্ঞাসা করিলেন, “মন্দিরে কে আছ ? মহাদেব কি জীবিত আছেন ?” বাপরুদ্ধকণ্ঠে করুণ উত্তর করিলেন, “আছেন।” এই সময়ে উল্কাসমূহের তীব্র আলোকে মন্দির উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, দীর্ঘাকার পুরুষ কহিলেন, “মহারাজাধিরাজ, পিতৃপুণ্যফলে স্কন্দের মাতা এখনও জীবিত, স্ত্রী-হত্যার পাতকে সুমুদ্রগুপ্তের বংশ কলঙ্কিত য় নাই। কিন্তু-কিন্তু স্ত্রী শোণিতে খামাদুেবার মন্দির রঞ্জিত হইয়াছে।” “মহাদেব কি আহত হইয়াছেন ? উস্কার আলোকে গোবিন্দ গুপ্ত দেখিতে পাহলেন “ যে অরুণার শোণিতে রমণাত্রয়ের বস্ত্র রঞ্জিত হইয়া গিয়াছে। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিসের রক্ত ?” করুণা কহিলেন, “মহাদেবী আত্মবলি দিবার উদ্যম করিতেছিলেন, অরুণা সেই খড়গ ধারণ করিয়া আঙ্গত ジ 予 ぞ 憂