পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ করুণা থাকিবে । নগর-তোরণে দ্বিতীয় প্রহরের মঙ্গলবাদ্য আরম্ভ হইলে আমি অক্ষয়নাগের বিপণীতে প্রবেশ করিব।” মুরারি প্রণাম করিয়া বিদায় হইল । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ -ఖిస్తాభ్-ఖీ অঙ্গুরীক্সক সংবাদ শীতকালের শেষভাগে একদিন প্রত্যুষে জনৈক দীর্ঘাকার ব্রাহ্মণ পাটলিপুত্র-নগরপ্রান্তে গঙ্গাস্নান করিয়া দ্রুতপদে নগরে ফিরিতেছিলেন। তাঙ্গর পশ্চাতে শতহস্ত দূরে একখানি সুন্দর রথ ও তিন চারিজন পরিচারক ধীরে ধীরে আসিতেছিল । গঙ্গাতীরের পথ যে স্থানে উত্তরাপথের প্রশস্ত রাজবত্মের সহিত মিলিত হইয়াছে, সেই স্থানে জনৈক ভিক্ষু ও একজন ব্রাহ্মণ পথিপাশ্বে বিশ্রাম করিতেছিল। সদ্যঃস্নাত দীর্ঘাকার ব্রাহ্মণ পথের সন্ধিস্থলে আসিয়া উপস্থিত হইলে, ভিক্ষু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভদ্র, আমরা বিদেশীয়, মহানগরের পথ চিনি না, কোন পথে পশ্চিম তোরণে যাইব ?” ব্রাহ্মণ গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তিনি প্রশ্ন শুনিতে পাইলেন না। ভিক্ষু তাহা বুঝিতে পারিয়া পুনৰ্ব্বার কহিলেন, “মহাশয়, পশ্চিম তোরণের কোন পথ ?” দীর্ঘাকার পুরুষ চমকিত হইয়া কহিলেন, “আপনি কি আমাকে কোন প্রশ্ন করিলেন ?” “হা, আমরা বিদেশীয়, পূৰ্ব্বে কখনও মহানগরে আসি নাই। কোন পথ অবলম্বন করিলে পশ্চিম তোরণে উপস্থিত হইতে পারির তাহ স্থির করিতে