পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ কাপালিক সংবাদ প্রভাতে পূজা শেষ করিয়া করুণা ও অরুণার, সঠিত মঙ্গদেবী গোবিদের মন্দির হইতে নির্গত হইলেন। মন্দিরের অন্তরালের সম্মুখে কুশাসনে বসিয়া ঋষভদেব পূজা করিতেছিলেন। পূজা অসমাপ্ত রঙ্গিয়৷ গেল, ব্রাহ্মণ আসন ত্যাগ করিয়া দাড়াইলেন । অমঙ্গল আশঙ্কায় ক্রস্তপদে করুণাদেবী তাছার নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, কি হইয়াছে ? পূজা ত্যাগ করিয়া উঠিলেন কেন ?" ঋষভদেব প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়া কহিলেন, “ঠাকুরাণি, দেশে ফিরিব কবে ?” “ঠাকুর, এত উতলা হইয়াছেন কেন, পাটলিপুত্র কি আর ভাল লাগিতেছে না ? আমি ভাবিয়াছিলাম যে নগরে আসিয়া আপনি দেশের কথা ভুলিয়া যাইবেন।” “রহস্য নহে দেবী, পরিহাসের কথা নহে, মন বড়ই উতলা হইয়াছে। কল্য রাত্রিতে নগরে একজন ভিক্ষু গণনা করিয়া কহিয়াছে যে, আমি আর কখনও গৌড়দেশে ফিরিব না।” “এই কথা। ঠাকুর, দেশে আপনার কে আছে যে আপনি এত উতলা হইতে ছেন ? গণকের কথায় বিশ্বাস করিতে নাই, সকলেই যদি ভবিষ্যৎ গণিয়া বলিতে পারে তাহ হইলে কি কাহারও বিপদাপদ হয় ?” “ঠাকুরাণি, আমার থাকিবার মধ্যে আছে ভানুমিত্র, আর তুমি, কিন্তু মন মানিতে চাহে কই ? যে দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, যে দেশে প্রথম স্বৰ্য্যালোক দৰ্শন করিয়াছি, যে দেশে পিতৃস্নেহে মাতৃক্রোড়ে বৰ্দ্ধিত হইয়াছি, সে দেশে আর