বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ منگ۔ چھچھ سچچا۔ গোবিন্দ গুপ্তের অভিসনাজুর রজনীর দ্বিতীয় যাম অতীত হইয়াছে । পাটলিপুত্র নগরের রাজপথে দীপ সমূহ নিৰ্ব্বাণোন্মুখ, কেবল শোণ্ডিকবাথির প্রতি বিপণীতে আলোক সমূহ উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। বহু নাগরিক বিপণাসমূহে প্রবেশ করিতেছে, অনেকে পান শেষ করিয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিতেছে । পানোন্মত্ত কলহপরায়ণ নাগরিকগণ পথ পরিপূর্ণ রাখিয়াছে । তোরণে তোরণে প্রাঙ্গরিক মঙ্গলবাদ্য শেষ হইবার পূৰ্ব্বে শুভ্ৰবসন-পরিহিত দুই জন পুরুষ বীথিতে প্রবেশ করিল। একজন দীর্ঘাকার গৌরবর্ণ, দেখিলে বোধ হয় যে, তাহার জীবন যুদ্ধ-ব্যবসায়ে অতিবাহিত হইয়াছে, দ্বিতীয় ব্যক্তি শু্যামবর্ণ খৰ্ব্বাকৃতি ও স্থূলকায়, শোণ্ডিকবীথি ও কপোতিকসজঘারামের রাজপথের সন্ধিস্থলে একটি অট্টালিকার তোরণ পাশ্বে অন্ধকারে এক ব্যক্তি লুক্কারিত ছিল, সে আগন্তুকদ্বয়কে বীথিতে প্রবেশ করিতে দেখিয় আশ্রয় পরিত্যাগ করিল এবং পথে অসিপ্পা জনতার সহিত মিশিয়া গেল । শোণ্ডিক অক্ষয়নাগের বিপণীর উপর নৃত্য হইতেছিল। যে গৃহে নৰ্ত্তকী কলা-বিদ্যার পরিচয় দিতেছিল, তাঙ্গর গবাক্ষে বসিয়া জনৈক নাগরিক কুৎসিত ভাষায় পথিকগণকে গালি দিতেছিল। দূর হইতে আগন্তুকদ্বয়কে দেখিয়া সে বাতায়নপথ পরিত্যাগ করিল। সহসা নৃত্য থামিয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে সেই কক্ষ হইতে সুমধুর বংশানিনাদ উত্থিত হইল। তাছা শুনিয়া শোণ্ডিকবীথির প্রত্যেক বিপণী হইতে দুই চারি জন নাগরিক বাহির হইয় পূথে আসিয়া দাড়াইল । ,