বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কলিকাতার ইতিহাস।

হইয়া পরিণতি প্রাপ্ত হয়, সেই উপযুক্ত অবসরেই তাহা লোকলোচনের দৃষ্টিপথবর্তী হয়। যৎকালে জব চার্নক এই স্থানটি নির্বাচন করেন, তৎকালে অতীব দূরদর্শী ব্যক্তিরাও কল্পনায় আনিতে পারেন নাই যে, কলিকাতা একদিন ইংরেজের ভারতসাম্রাজ্যের রাজধানীরূপে পরিণত হইবে।

 ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে ইংলণ্ডে একটি সমিতির গঠন হইল, এবং পূর্ব্ব-ভারত অঞ্চলে বাণিজ্য-পোত-প্রেরণের নিমিত্ত অর্থ সংগৃহীত হইল, কারণ সে সময়ে পর্তুগীজজাতি ঐ অঞ্চলে একরূপ একচেটিয়া বাণিজ্য করিতেছিল। পরে ভারতবর্ষে ওলন্দাজদিগের প্রভাব দর্শনে ঈর্ষান্বিত হইয়া কতকগুলি ইংরেজ বণিক উক্ত অব্দের সেপ্টেম্বর মাসে লর্ড মেয়রকে সভাপতি করিয়া এক সভা করিলেন। সেই সভায় স্থির হইল যে, ভারতবর্ষের সহিত সাক্ষাৎ সম্বন্ধে, বাণিজ্য করিবার নিমিত্ত একটি সমিতির গঠন করা হইবে। ইংলণ্ডের রাণী এলিজাবেথের অভিপ্রায়ানুসারে সার জন্য মিলডে হল নামক একজন সম্রান্ত সাহেব ইংরেজ কোম্পানীর অনুকূলে বিশেষ বাণিজ্যাধিকারের প্রার্থনা করিবার নিমিত্ত কষ্টাণ্টিনোপলের পথ দিয়া প্রবল-প্রতাপ মোগল সম্রাটের নিকট প্রেরিত হইলেন। ভারতবর্ষ অপরিমেয় ধনের অক্ষয় ভাণ্ডার, এই জনক্ষতি বহু ইংরেজের মনে ঔৎসুক্য ও উৎসাহ উদ্দীপিত করিয়া দিল। জলপথে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বাণিজ্য করিয়া বিদেশে ধনার্জন করাই উদ্যমশীল, ইংরেজদিগের প্রধান বাসনা হইয়া উঠিল। (খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে, মহারাণী এলিজাবেথের রাজবের শেষভাগে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী রাজকীয় সনদ লাভ করিয়া বাণিজ্য করিতে আরম্ভ করিলেন। কথিত আছে যে,