পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
কলিকাতার ইতিহাস।

প্রাপ্ত হন। উক্ত সাহেব বলেন, এই দেবীর পৃষ্ঠার ব্যয় সর্ব- প্রকারে মাসিক ৮০ ০ সিক্কা টাকা, অর্থাৎ বৎসরে ৭২,০০০ টাকা) কিছুদিন হইতে কালীঘাট ও তৎসন্নিহিত স্থানগুলি কলি- কাতা সহরের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে, এবং সকল শ্রেণীর লোকেই এখানে বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছে; এই কারণে ইহা এক্ষণে কলিকাতা একটি জনবহুল উপনগরে পরিণত হইয়াছে। পাদরি ওয়ার্ড সাহেবের লেখার পর সেবাইতগণের সংখ্যা বহুপরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে এ তীর্থে শ্রীশ্রীনকুলেশ্বর শ্যামায় নামে আরও দুইটা দেবতা আছেন; হিন্দুর ইহাদিগকেও যথেষ্ট ভক্তির সহিত পূজা করিয়া থাকে। গোবিন্দপুরে যে স্থানে বর্তমান ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ দণ্ডসুমান, ঐ স্থানে শ্রী শ্রীগোবিন্দজীর মন্দির ছিল। গোবিন্দজীকে এক্ষণে কালীঘাটে লইয়া যাওয়া হইয়াছে! লোকের দৃঢ়বিশ্বস এই যে, কালীঘাটে নকুলেশ্বর ভৈরব থাকায় এই তীর্থক্ষেত্রের মাহাত্ম্য আরও অধিকতর বর্ধিত হইয়াছে।

 হিন্দুদিগের ধর্মপ্রবৃত্তির দৃষ্টান্তস্বরূপ ওয়ার্ড সাহেব উল্লেখ করিয়াছেন যে, কৃষ্ণনগরের রাজা রামকৃষ্ণ বরানগরে কালীদেবী: প্রতিমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ মুদ্রা ব্যয় করিয়াছিনে। শ্রী শ্রী ব্রাহ্মণগণের ও দীন দরিদ্রদিগের ভরণপোষণার্থ উক্ত রাজার দান যথার্থই নদীয়ার রাজবংশের উচ্চ মর্যাদার অনুরূপ। গোবিন্দ- রাম মিত্রের নবরত্ন মন্দিরের কথা ইতঃপূৰ্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। তদ্ভিন্ন বাগবাজারে অপার চিৎপুর তোডের পার্শ্বস্থ, সিদ্ধেশ্বীদেবীও তাহার প্রতিষ্ঠিত। সকল শ্রেণীর হিন্দুই এই দেবীকে পুজা দিয়া থাকে। বাগবাজারের বাবু গোকুলচাঁদ মিত্র মদনমোহন দেবের মুর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তঁহার জন্য অন্য একটি সুন্দর বাড়ী