পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৭৩

যাইত যে, বীড স্কোয়ার নামক উদ্যানের এক পার্শ্ব প্রচারকে্রা বাইবেল প্রচার করিতেছেন এবং তাহারই অদূরে কেশবচন্দ্র নানাজাতীয় জনমণ্ডলীর মধ্যস্থলে আপনার একেশ্বরবাগ প্রচার করিতেছেন বাঙ্গালায় চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা করিবার পথ তিনিই প্রদর্শন করেন। অক্লান্ত শ্রমশীল কেশবচন্দ্রের নিকট স্ত্রীশিক্ষাও যথেষ্ট উৎসাহ লাভ করিয়াছিল। নগরের যে অংশে দেশীয়দিগের বাস, সেই অংশে (অর্থাৎ উত্তরাংশে) ‘য়্যালবার্ট হল’ নামে সাধারণ-মন্দির আছে, প্রধানতঃ কেশবচত্রের যত্নেই তাহা নির্মিত হয়; লোকে তথায় সভা করিয়া রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মবিষয়ক ও অন্য প্রসঙ্গের অবাধে আলোচনা করিতে পারে। দেশীয় থিয়েটার এবং ব্যায়াম ও অন্যান্য ক্রীড়াকৌতুকে তিনি একজন বিশিষ্ট পৃষ্ঠপোষক ও সংস্কারসাধক ছিলেন। ইণ্ডিয়া ক্লাব ঠাহারই দ্বারা স্থাপিত হয়। তাঁহার সুবিখ্যাত জামাতা কুচবিহারাধিপতিই উহার বর্তমান পেট্রন'। ১৮৮২ অব্দে উহা প্রথম স্থাপিত হয়। ইংরেজ ও ভারতবাসীদিগের মধ্যে সামাজিক, ভাবের পরিবর্ধনই উহার প্রধান উদ্দেশ্য। কেশবচন্ত্রের ক্রিয়াশীলতা বহুমুখীন। তিনি কলুটোলার সেনবংশের প্যারীচরণ সেনের মধ্যমপুত্র। ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দের ১৯শে নভেম্বর তাঁহার জন্ম হয়। প্রথম বয়সে তিনি নাটকাভিনয়াদি থিয়েটারে আমোদ প্রমোদের অত্যন্ত অনুরাগী ছিলেন। কথিত আছে যে, তিনি এইরূপ আমোদে অন্যূন ১০,০০০ টাকা ব্যয় করিয়া ফেলেন। তিনি হিন্দু মেট্রপলিটান কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। কথিত আছে যে, পৈতৃক ধর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ব্রাহ্ম হইবার পূর্বে তিনি আপনাকে জীবনের মহাব্রত উদযাপনের উপযোগী করিবার অভি-