পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
কলিকাতার ইতিহাস।

 দমদম, বারাসত, চন্দ্রনগর, কাশিমবাজার, চট্টগ্রাম, শুকসাগর, ও হুগলির নিকট বিরকুল, এই কয়েকটি স্থান তৎকালে সবিশেষ প্রীতিপ্রদ ও স্বাস্থ্যপ্রদ বলিয়া বিবেচিত হইত। ১৭১৯ সালের পূে কলিকাতায় এক প্রকার মিউনিসিপালিটি ছিল। সে যাহা হউক,

    সংগ্রহ করিয়াছিলেন, তাহা প্রথমে দেশীয়দিগের হাসপাতালের কমিটির হস্তে অৰ্পণ করিতে চাহেন, কিন্তু ঐ কমিটি তাহা গ্রহণ করিতে অসম্মত হওয়ায় পরে সেই অর্থ ঋণ পরিশোধে অসমর্থ (দেউলিয়া) অধমর্ণদিগের উদ্ধারসাধন কল্পে অর্পিত হয়। প্রথমবার প্রতি টিকিট ৩২ টাকা দরে ১০,০০০ টিকিট বিক্রীত হয়। লটারির ব্যয় নির্বাহার্থ শতকরা ২ টাকা এবং লোকহিতকর ও দাতব্য কার্যের নিমিত্ত শতকরা ১০ টাকা কাটিয়া রাখার পর অবশিষ্ট সমস্ত টাকাই পুরস্কার বিতরণে বায়িত হইয়াছিল। ১৮০৫ সালে ১০০০ টাকা করিয়া ৫,০০০ টিকিট বিক্রয় করা হয়। তৎকালে যত টাকা উঠিয়াছিল, তাহার শতকরা ১০ টাকা টাউনহলের নিমিত্ত ও শতকরা ২ টা ব্যয়নিৰ্বা- হার্থ লওয়া হইয়াছিল। ১৮০৬ সালে সাড়ে সাত লক্ষ টাকার লটারি খেলা হইয়াছিল; এবং অনেক দিন পর্যন্ত এইরূপ চলিয়াছিল। লর্ড ওয়েলসলি শহরের উন্নতি সাধনার্থ যে কমিটি স্থাপন করেন, সেই কমিটির অস্তিত্ব যত দিন ছিল, তত দিন লটারি দ্বারা লব্ধ অর্থ সেই কমিটির হস্তে অর্পণ করা হইত। লটারি দ্বারা সংগৃহীত অর্থে ১৮০৫ হইতে ১৮১৭ সাল পর্যন্ত বহু প্রয়োজনীয় ও কি কার্য্য সাধিত হয়। স্বয়ং গভর্ণর জেনারেল এই সকল লটারি ‘পেট্রন’ (পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। লটারির টাকায় কয়েকটী বড় বড় পুষ্করিণী ও বেলেঘাটা খাল খনন করা হয় এবং টাউনহল ও ইলিয়ট রোড প্রভৃতি কয়েকটা প্রশস্ত রাজপথ নির্মিত হয়। শহরের উন্নতি সাধনকল্পে লটারির লাভ হইতে অন্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়াছিল। ১৮১৭ সালে কাউন্সিলের ভাই প্রেসিডেণ্ট (সহ-সভাপতি) সুপ্রসিদ্ধ লটারি কমিটি প্রতিষ্ঠিত করেন। উক্ত কমিটি ভূতপূৰ্ব ১৭টি লটারির উদবৃত্ত সাড়ে চারি লক্ষ টাকা স্বহস্তে গ্রহণ করেন। এই কমিটি ১৮৩৬ অব্দ পর্যন্ত ২০ বৎসর কাল এক কনসার্ভেন্সি (রাস্তাঘাট প্রভৃতির অক্ষুন্ন অবস্থায় রক্ষাবিধান কার্য) ব্যতীত