পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১০৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৯২ কলিকাতা সেকালের ও একালের । স্বাধীনচেত নবাব মীরকাস্মিকে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করিয়া, উহাকে ইংরাজদমনে প্রবৃত্ত করিবেন, কিন্তু নবাব তাহার অসীম ইংরাজাকুরক্তির নিমিত্ত অবিশ্বাস করিয়া, তাহাকে নিজপক্ষে গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হন নাই । - এই সময়ে “রামচরণ রায়” স্বাক্ষরিত কয়েকখানি গুপ্তলিপি আবিষ্কার হওয়াতে, নঙ্গকুমার আবার ইংরাজের সন্দেহনেত্রে পতিত হন। এই সকল পত্রে, ইংরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের, আভাস ছিল। এজন্য গভর্ণর তাহাকে প্রহরী-বেষ্টিত করিয়া রাথিয়া দেন । কিন্তু ইহার অল্প দিন পরে, মীরকাসিমের পতনের পর, মীরজাফর যখন পুনরায় সিংহাসন প্রাপ্ত হন, তখন তিনি নন্দকুমারকে আপনার দেওয়ান নিযুক্ত করিতে চাহেন । ইংরাজ পক্ষ প্রথমে এ প্রস্তাবে আপত্তি করিলেও, অবশেষে নবাবের অঙ্কুরোধে তাহাতে সম্মত হইলেন। সম্রাটের সহিত সন্ধি হইবার পর, নবাব মীরজাফর আলি খান বাদসাহের নিকট হইতে “মহারাজা” উপাধি আনাইয়া নন্দকুমারকে প্রদান করিলেন । এই সময়ে নন্দকুমার দেওয়ান হইয়া, রাজস্ব আদায়ের যথেষ্ট স্ববন্দোবস্ত করেন । মহারাজ নন্দকুমারের বিহারে অবস্থানকালে কাশীরাজ বলবস্ত সিংহের এক গুপ্ত পত্র, ইংরাজগণ ঘটনাচক্রে ধরিয়া ফেলেন। ইহাতে সপ্রমাণ হইল, নন্দকুমার বাদসাহের সাহায্যে ইংরাজদের অনিষ্ট চেষ্টা করিতেছেন এবং বলবন্ত সিংহ এই ব্যাপারে মধ্যস্থ হইয়াছেন । এই পত্র পাইয়া ইংরাজেরা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইলেন। জেনারেল কার্ণক নন্দকুমারকে প্রহরী-বেষ্টিত করিয়া কলিকাতায় পাঠাইতে চাহিলেন। কিন্তু রাজা নবকৃষ্ণ ও অন্যান্ত বহু সম্ৰান্ত ব্যক্তির বিশেষ অনুরোঞ্জে, অবশেষে তিনি এ কার্য্যে নিরস্ত হন। ইছার পর দুই বৎসরকাল ধরিয়া, নবাবের ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্য নন্দকুমার ইংরাজগণের সহিত প্রচুর বাদ প্রতিবাদ আরম্ভ করেন। তাহার প্রতি ইংরাজগণের বিরক্তি ও ক্রোধ ইহাতে ক্রমেই বাড়িয়া উঠিতে থাকে। অবশেষে ১৭৬৫ খ্ৰীঃ অব্দে মীরজাফরের মৃত্যু হইলে এই তর্ক বিতর্ক পরিসমাপ্ত হয়। মীর জাফরের মৃত্যুর পর, তাহার পুত্র নজমউদ্দৌলা নবাব হইয়া, নলকুমারকে দেওয়ান নিযুক্ত করিবার জন্ত, লর্ড ক্লাইভকে অনুরোধ করেন ; কিন্তু ক্লাইভ এই অম্বরোধ রক্ষা করিতে পারলেন না। ক্লাইভ এই সময়ে দ্বিতীয়বার গভর্ণর হইয়া আসিয়াছিলেন। তিনি পূৰ্ব্বে নন্দকুমারের বন্ধু ছিলেন বটে, কিন্তু এক্ষণে র্তাহার সম্বন্ধে ভাব্দিটার্টের তীব্র মন্তব্য পাঠ