পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। - ፰ግ সিংহের আক্রমণ ব্যর্থ করিয়া দেন–আবার কখনও বা মোগল সৈন্তগণকে আক্রমণ করিয়া, রুতাস্তের স্তায় মথিত করিতে থাকেন। এই ভাবে নয়দিন ধরিয়া, ভয়ানক যুদ্ধ চলিল। দশম দিবসে, গভীর নিশীথে—ইষ্টদেবীর উপাসনার্থে রাজা কেদাররায় দশ-মহাবিদ্যার মন্দিরে প্রবেশ করেন। তিনি যখন ইষ্টপূজায় একান্তচিত্তে নিমগ্ন, ভক্তির প্রবল উচ্ছাসে বাহ্যজ্ঞানবিহীন, সেই সময়ে বিশ্বাসহন্ত শ্ৰীমস্তের সহায়তায়, মানসিংহ-নিয়োজিত গুপ্তঘাতক, সেই মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিয়া কেদাররায়কে অতর্কিত আক্রমণে, অতি নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। মানসিংহের এই কাপুরুষতা ও শ্ৰীমক্ষের এই বিশ্বাসঘাতকতা, অনন্তকাল পর্য্যন্ত উতাদের নামে গভীর কলঙ্ক-কালিম বিলেপিত করিয়। রাখিৰে । কেদাররায়ের মৃত্যু সম্বন্ধে—আর একটা বিবরণ, আজকাল প্রকাশিত ইষ্টয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত মতে প্রকাশ--যে কেদাররায় মানসিংহের নিয়োজিত গুপ-ঘাতকগণ দ্বারা, ছিন্নমস্ত দেবীর মন্দিরে নিহত হন । কিন্তু ঐতিহাসিক চিত্রে, কেদাররায়ের মৃত্যু-সম্বন্ধে যে বিবরণটা প্রদত্ত হইয়াছে—তাঙ্গ অন্তরূপ । আমরা কেদাররায় প্রসঙ্গের শেষাংশটা পাঠকের গোচরার্থে এস্থানে উদ্ধত করিলাম। “পাঠান রাজলক্ষ্মী, গৌড় হইতে চির নির্বাসিত হইলেও, বাঙ্গলার শস্য-শামল প্রান্তর হইতে, তুর্দমনীয় শক্তি একেবারে অন্তর্তিত হয় নাই । দাযুদের পর কতলুর্গা, ইশার্প ও ওসমান খণ সেই শক্তিকে জাগরিত করিয়াছিলেন । ওসমানের বিজয়ভেরী, প্রথমে উড়িষ্যণয় নিনাদিত হইয়া, পরে পূর্ববঙ্গে মহান্দোলন উপস্থিত করে । সেই ব্যোমবিজয়ী, বিজয়ভেরীর গভীর নিনাদ শ্রবণ করিয়া: পূর্ববঙ্গে অবস্থিত মোগল-সেনাপতি বাজবাহাদুর তাহার নীরবতা সাধনের জন্য, নানা চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু ওসমানের ভেরী-নিনাদ কিছুতেই নিবৃত্ত না হওয়ায়, মানসিংহ স্বয়ং বাজবাহাদুরের সাহায্যের জন্য, পূর্ববঙ্গে গমন করেন । মিলিত মোগলসৈঙ্গের হুঙ্কারে, কিছুকালের জন্য ওসমানের বিজয়ভেরী, নীরব ভাবে অবস্থান করে। ইহার পর, বীজবাহাদুর ইশাখ1—ও কেদাররায়ের রাজ্য আক্রমণ করিবার আয়োজনে প্রবৃত্ত হন। ওসমান, ইশাখী ও কেদাররায়ের প্রতিযোগীতায়— মোগল সেনাপতিগণ—পূর্ববঙ্গে শাস্তিস্থাপন করিতে পারেন নাই। বাজবাহাদুরকে, সোনারগী ও বিক্রমপুর অধিকার করিবার জন্য উদ্যোগী দেখিয়া, ওসমান পুনৰ্ব্বার মোগলের সহিত শক্ৰতা আরম্ভ করেন। মানসিংহ చి