পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । 》에 তৎপরে ব্রহ্মচারী অনুসন্ধান করিতে করিতে, অদূরে স্বয়স্কৃলিঙ্গ নকুলেশ্বর }ভরব রহিয়াছেন, দেখিতে পাইলেন । তদবধি ঐ ব্রহ্মচারী, উক্ত প্রস্তরময় দী-অঙ্গ, যত্বপূর্বক ঐস্থানে রাখিয়া, প্রত্যহ সেই নির্জন বনপ্রদেশে আসিয়া, উক্ত কালীমূৰ্ত্তি ও নকুলেশ্বরের পূজা করিতেন। ইহার পর ক্রমশঃ—এই ব্যাপার জনসমাজে পরিজ্ঞাত হয়। আজও এই জনরবটী, কালীঘাট অঞ্চলের বুদ্ধলোক পরম্পরায় শুনিতে পাওয়া যায়। জন-প্রবাদ এই–পূৰ্ব্বোক্ত ব্রহ্মচারীর নাম—আত্মারাম ব্রহ্মচারী। خر.. - . দ্বিতীয় জনপ্রবাদ এই—দিবা অবসান প্রায় । কলিকাতার দক্ষিণে বড়িশার প্রসিদ্ধ ভূম্যধিকারী, সাবর্ণ-গোত্রজ সন্তোষ রায়-চৌধুরী মহাশয়, একদা অরণ্য-পরিবৃত কালীঘাটের তীরবর্তী, ভাগিরথী-বক্ষোপরি নৌকা করিয়া যাইতেছিলেন। তখন প্রায় সন্ধ্যা হইয়াছে। সেই শ্বাপদ-সস্কুল অরণ্য মধ্যে, শম্বঘণ্টা প্রভৃতির ধ্বনি শুনিয়া, তিমি অতীব বিস্মিত হইলেন। কৌতুহল পরিতৃপ্তির জন্য, তিনি ঐ স্থানে নৌকা হইতে অবতরণ করিয়া, সেই শঙ্খ ঘণ্টার শব্দ লক্ষ্য করিয়া, বনমধ্যে প্রবেশ করেন। গভীর বন-স্থানে উপস্থিত হইয়া,তিনি সবিস্ময়ে দেখিলেন,—সেই বিরাট জঙ্গল-সমাবৃত,নিস্তব্ধ বনপ্রদেশে, এক ব্রহ্মচারী—পাষাণময়ী কালীমূৰ্ত্তিরসায়ংকালোচিত আরতি করিতেছেন। সন্তোধরায় শক্তি-মন্ত্রে দীক্ষিত ছিলেন । তিনি ভক্তিভরে দেবীকে প্রণাম করিয়া, ভীতি-বিহবল-চিত্তে, ভক্তিপূর্ণ প্রাণে, সেই স্থানে দণ্ডায়মান রছিলেন। আরত্রিক কাৰ্য্য শেষ হইয়া গেলে, তিনি সেই বিজনবাসী ব্রহ্মচারীর সহিত আলাপ করিয়া জানিতে পারিলেন, যে—ঐ স্থানে সতী-অঙ্গ নিপতিত হইয়াছিল, সেই অঙ্গ-ব্রহ্মচারীই সৰ্ব্বপ্রথমে দেখিতে পান । তৎপরে দেবাদেশে তিনি সেই দিন হইতেই ঐ স্থানে, দেবীমূৰ্ত্তির ও ভৈরবের পূজা করিয়া আসিতেছেন। এই ঘটনার পর হইতে, সন্তোষরায়—মধ্যে মধ্যে ঐ স্থানে কালীমূৰ্বিদর্শন করিতে আসিতেন । ইহার পরে, জন-সমাজে এই কালীমূৰ্ত্তির কথা প্রচারিত হয় । - তার পর তৃতীয় জনরব এই—যে বড়িশার সাবর্ণ-চৌধুরী জমীদারগণের পূৰ্ব্বপুরুষ, কেশব রায়-চৌধুরী, আপন জমীদারী ভূক্ত গঙ্গাতীরে, গভীর অরণ্য মধ্যে, জপ-তপাদি করিতেন । তিনি ঘোর শক্ত ছিলেন । একান্ত মনে কিয়দিবস শক্তিসাধনার ফলে,তিনি দেবীর প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হন । দেবী—তাহাকে স্বপ্নে আদেশ করেন-"যদি আমার সাধনায় সিদ্ধি লাভ করিতে চাস-তাহ হইলে কাণীকুণ্ড-তীরে আমাকে অনুসন্ধান কর। সেখানে তুই আমার প্রস্তর