পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় ২৮৯ : নাগড়ী বাহির হইল। এই মসলিন এত স্বহ্ম সুত্রে প্রস্তুত, যে আদৌ লহর অস্তিত্ব অনুভব করিতে পারা যায় না । যত লম্বা মসলিন হউক না কেন –তাহার ভার অতি কম। ভরি ও রতি ইহার মাপ পরিমাণ। আমরা বে শুনিয়াছি, যে ঢাকাই মসলিনের একথও যদি রাত্রিকালে কোন তৃণক্ষেত্রে বথিয়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে সমস্ত রাত্রি শিশিরে ভিজিয়া, তাহার এরূপ অবস্থা হয়, যে পরদিন প্রভাতে—স্বৰ্য্য উঠিলে ৪ তাহার অস্তিত্ব বোধ হয় র। বোধ হয়, যেন বাসের উপর একথানি মাকড়সার সুদীর্ঘ জাল বিড়ান আছে। 教 বঙ্গের সেকালের সূক্ষ্ম-কৰ্ণপাসস্বত্র – বাঙ্গালীর ভাগ্যলক্ষ্মী ছিল । অনেক টাকার সূক্ষ্মস্থত্র, কাপাসবক্স ও মসলিন এ দেশ হইতে ইউরোপের কাটে উচ্চমূল্যে বিক্রয় হইত। কাট্রন-কাটা এদেশে তখনকার একটা সাধারণ প্রথা । মোগলদিগের আমলে--এই কাটনা-কটি প্রথার যথেষ্ট প্রচলন ছিল । কবিকঙ্কণের নিম্নলিখিত শ্লোকটাই তাছার প্রমাণ— প্রভুর দোসর নাই, উপায় কে করে কাটনগর কড়ি কত যোগাব ওঝারে । "দাদনি” দেয় এবে মহা জন সলে টুটিল স্থতার কড়ি উপায় কি হবে ? দুপণ কড়ির স্থত একপণ বলে এত দুঃথ লিখেছিল। অভাগী কপালে ! তথন স্ত্রীলোকের দাদনী লইয়া কার্টুন কাটিতেন । শেঠ-বসাকেরা পরবর্তী কালে দাদন দিয়া কাজ করাইতেন, পরে ইংরাজ-বণিকেরাও "নী" প্রথা অবলম্বন করিয়াছিলেন । ভাগিরথীর একদিকে ক্ষু তালুটার স্থতার ব্যবসা ও অপরদিকে বেতোড়ের ইট। এই দুইটা হাটের বাণিজ্যের জন্তাই, ভবিষ্যৎ কলিকাতার প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিশেষ সহায়তা হইয়াছিল। ধরিতে গেলে, শেঠ-বসাকদিগের আগমনে বন জঙ্গলপূর্ণ গোবিন্দপুর—একখানি ক্ষুদ্র গ্রামে পরিণত হয় । বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ বল্লভাচার্য্যই রাধাকৃষ্ণের যুগল-মূৰ্ত্তির উপাসনা, ভারতে প্রচার *ণে, এরূপ একটা জনপ্রবাদ আছে। বলিতে পারি না, শ্রীরাধাকৃষ্ণের গৈ খুষ্টির বহুল প্রচার ইহার পূৰ্ব্বে হইয়াছিল কি না ? বসাকের গোবিন্দ* শাসিবার পর, রাধাকৃষ্ণের যুগল-মূৰ্বর প্রতিষ্ঠা করেন। সম্ভবতঃ ইহা " পতাকার প্রথমদ্ধি কাল । শেঠ-বসাকদিগের গোৰিদৰ্জী ঠাকুর, ףסי