পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विडीौग्न अक्षांच्च । సి মগধরাজ্যের উচ্ছেদের পর, পালবংশীয় নৃপতির, ষ্টের দশম শতাব্দী পৰ্য্যস্ত গৌড়ে রাজত্ব করেন। এ সময়ে ভারতের সর্বস্থানেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম হীন-প্রতাপ “অহিংসা-পরমোধৰ্থ” এই পবিত্র মূলনীতি ত্যাগ করিয়া, আবার হিংসামন্ত্রময় বলির রুধির-শ্রাতে, কাপালিকের শবসাধনে ও পঞ্চমকারময় উপাসনায়, দেশ অনুপ্রাণিত হইয়া উঠিল। পালবংশীয় নরপতিগণ, বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও—হিন্দুগণকে কোন রূপে উৎপীড়িত ও নিরুৎসাহিত করেন নাই। র্তাহারা অনেক ব্রাহ্মণকে ভূমিদান করিয়াছিলেন। শাস্ত্রজ্ঞ, রাজনীতি-জ্ঞানপূর্ণ, অনেক মনীষি ব্রাহ্মণকে তাহারা মন্ত্রীভূ-পদ পৰ্য্যন্ত প্রদান করেন। ইতিহাসে প্রকাশ-পালবংশীয় দেবপাল, নারায়ণ পাল প্রভৃতি রাজাগণ–শাস্ত্রজ্ঞ, ব্রাহ্মণগণকে মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। অনেক প্রাচীন গুপ্ত-লিপি ও অনুশাসন-পত্রে ইহার যথেষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায় । বৌদ্ধদিগের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে, হিন্দুধর্শ্বের প্রভাব আবার বাড়িয়া উঠিল। তান্ত্রিক-ধৰ্ম্ম—নানাস্থানে আধিপত্য প্রকাশ করিতে লাগিল । তন্ত্রাচারী কাপালিকগণ, গভীর অরণ্যমধ্যে শক্তি-সাধনায় নিমগ্ন হইলেন । পূৰ্ব্বোক্ত চূড়ামণি-তন্ত্র সেকালের একখানি প্রাচীন তন্ত্র-গ্রন্থ । এই তন্ত্র হইতে প্রমাণ হয়, সে সময়ে কালীঘাট গভীর জঙ্গলাবৃত অবস্থায়, লোক-লোচনের অগোচরে ছিল। বৌদ্ধধর্শ্বের ক্রমিক অবনতির সহিত, এদেশে শাক্ত-ধর্শ্বের প্রভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হইতে থাকে, এবং তান্ত্রিকগণও ক্রমশঃ “সিদ্ধ-পঠ” সমূহের কথা জানিতে পারে। খৃষ্টের দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে—বল্লালসেন গৌড়ের সিংহাসনে অধিরূঢ় ছিলেন। এরূপ জনশ্রুতি আছে—বল্লালের আমলে, অনেক—মরনারী পাপমোচন কামনায়, কালীক্ষেত্রে গঙ্গাস্নানে আসিত । গঙ্গাতীরেই এই “কালীক্ষেত্ৰ” ছিল। এই কালীক্ষেত্র ও কালীঘাট যে একই স্থান নয়, তাহাই বা কে বলিতে পারে। গৌড়েশ্বর-গণের প্রচারিত অনুশাসন-পত্র গুলি হইতে যতদূর জানিতে পারা গিয়াছে, তাহাতে বোধ হয়, তাহারা শিব ও শক্তির উপাসক ছিলেন। রাজকাৰ্য্যের সুবিধার জন্য বল্লালসেন সমস্ত বঙ্গদেশকে (১) রাঢ়, (২) বগড়ি, (৩) বরেন্দ্র, ( ৪ ) বঙ্গ, ( ৫ ) মিথিলা, এই পঞ্চভাগে বিভক্ত করিয়া ছিলেন। ভাগিরথীর-পশ্চিম ও গঙ্গার দক্ষিণ অঞ্চলকে রাঢ়-দেশ বলিত। গঙ্গার দক্ষিণ ও ভাগিরথীর পুর্বাংশ বগড়ি নামে পরিচিত ছিল । গঙ্গার