পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 কলিকাতা সেকালের ও একালের । বিগ্রহ সংগ্ৰহ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া পাঠান। এই দুই বিগ্ৰহ আবার উৎকল-বাসীদের পরমারাধ্য দেবতা। উড়িষ্যার মধ্যভাগ হইতে সে গুলি নিরাপদ ভাবে আনয়ন করা, বড় সহজ ব্যাপার নহে! কিন্তু প্রতাপ—পূজারীদের হস্তগত করিয়া, পিতৃব্যের জন্য বিগ্রহন্ধয় সংগ্ৰহ করিয়া স্বদেশাভিমুখে যাত্রা করেন। উড়িষ্যা-বাসীরা যখন জানিতে পারিল, তাহীদের দেবতাদ্বয় অপহৃত হইয়াছে, তখন তাহারা বিগ্রহের উদ্ধার কামনায়, প্রতাপের পশ্চাদ্ধাবিত হইল। যে উৎকীদের বাহুর শক্তি-পরীক্ষার জন্য, তিনি এত উৎসুক হইয়া ছিলেন—কৰ্ম্মসুত্রে তাহ। আপনিই ঘটিয়া গেল । উৎকল রাজগণের সহিত—প্ৰতাপের যুদ্ধ বাধিল । সুবর্ণ-রেখার তট ভূমে,বাঙ্গালীর প্রথম শক্তি পরীক্ষা ব্যাপারে—প্ৰতাপই বিজয়ী হইলেন। এ যুদ্ধে কয়েকজন উৎকল-রাজ প্রতাপের হস্তে বন্দী হন । প্রতাপ তাহাদের সহিত যথেষ্ট সৌজন্য ও শিষ্ট ব্যবহার করিয়া, পরিশেষে বন্দী রাজগণকে সসন্মানে মুক্তিদান করেন । এই যুদ্ধ সময়ে, প্রতাপের সহকারী শঙ্কর চক্রবর্তী, স্বৰ্য্যকান্ত গুহ প্রভৃতি শৃরগণ, যথেষ্ট শৌৰ্য-বীৰ্য্য প্রকাশ করিয়াছিলেন। যেরূপ ভাবে অসংখ্য শক্ৰ-মণ্ডলীর মুখ হইতে আত্মরক্ষণ করিয়া, তাহারা যশোহরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন, তাহা বাঙ্গলার ইতিহাসে অতি দুলভ ঘটনা । এই উৎকলেশ্বর-হরণ ব্যাপারেই প্রতাপের যশঃগৌরব বঙ্গের চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল । *

  • প্রতাপাদিত্য-চরিত লেখক, শাস্ত্রী মহাশয়, বসন্তরায়ের বংশধর যুক্ত রাজা রমেশ্চত্র রায়ের নিকট এই উৎকলেশ্বর মন্দিরের যে প্রস্তর—লিপি পাইয়াছিলেন—তাহ পাঠকবর্গের অবগতির জন্য, অমর। এখানে উদ্ধর করিলাম। মহারাজ। বসন্তুরায়, বেতকাশীতে ( মুন্দর BBBBB S BBBBBBB BB BBB BBB BBBB BBBS BBB S BBB BBBB নাই । তবে প্রতিষ্ঠা সময়ের প্রস্তুর—লিপিখানি এখনও বর্তমান আছে। প্রস্তর-লিপির মধ্যে লিখিত অাছে।-- -

নিৰ্ম্মমে বিশ্বকৰ্ম্ম যং পদ্মযোনি: প্রতিষ্ঠিতম্ উৎকলেশ্বর সজ্ঞঞ্চ শিবলিঙ্গমমুত্তমম্ প্রতাপাদিতা ভুপেনানীতমুৎকল দেশতঃ ততো বসন্তরায়েন স্থাপিতং সেবিতঞ্চ তৎ । * * জনশ্রুতি এই–গোবিন্যদেবের এক রাধিক ছিল। যুদ্ধ কালে স্বযর্ণরেখা পার হইবার যময়, সেই রাধিকা—ঠাকুরীণ নদী মপো হরাইয় যান। গোবিন্যদেবের প্রতিষ্ঠার পূর্কে রাজা বসন্তরায়, ঠাকুষ্ট্রের জন্য একটা রাধিক নিৰ্ম্মাণ করান। কিন্তু ঠাকুর, স্বপ্নে তাহাকে বলেন—“এ রাধিক। আমার মনোনীত হয় নাই।” এই জন্য একে একে অনেকগুলি রাধিক। নিৰ্ম্মিত হুইয়াছিল। প্রতাপ খাবার এই রাধিকা-গুলির জন্য, এক একটা কৃষ্ণ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাজে। নানাস্থানে সেই যুগলমূৰ্ত্তি গুলি প্রতিষ্ঠা করেন।