২৫ং কল্পদ্রুম । ত্যাগু তং কুলং ” অর্থাৎ যে কুলে অবলাগণ সদাই শোক প্রকাশ করে, সে কুল নিশ্চয় বিনাশ প্রাপ্ত হয়। তাহাই হইয়াছে। কৌলীন্য বিবাহ হইতে কন্যাবিক্রয় প্রথা আজও হিন্দুসমাজকে কলঙ্কিত করিতেছে। আশ্চৰ্য্য,যে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের প্রশাসনে দূর দূরস্থ আফুিকর কাফির পর্য্যন্ত দাস বিক্রয় ব্যবসায় পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইল, সেই ব্রিটিশ সিংহাসনের নিকট দাড়াইয়া অবাধে হিন্দুসমাজ কন্যা বিক্রয় করিয়া অর্থোপার্জন করিতেছে । রাজপুরুষেরা কিছুই বলিতেছেন না। ইহার সঙ্গে ধৰ্ম্মের কোন যোগ নাই। কৌলীন্য প্রথা হিন্দুধৰ্ম্মানুমোদিত নহে। ইহা হিন্দুরাজা বল্লালসেনের কৃত। আমাদের বর্তমান ইংরাজরাজ ইহর অনায়াসে উন্মলন করিতে পারেন । তাহ হইলে সমাজের বহুল উপকার দশিতে পারে । তাহা হইলে যে কেবল দুর্ভাগ বংশজের বাচিয়া যায় এমন নহে, সমগ্র হিন্দু ভামিনীগণ জন্মের মত কৃতার্থ হয় সন্দেহ নাই । কন্যা বিক্রয়কারী পিতামা তাদের জানা উচিত, তাহারা জ্ঞাতসারে যে মহাপাপ করিতেছেন, তাহার আর প্রায়শ্চিত্ত নাই। তাহারা মূল্যের পরিবর্তে কন্যাপণ বলিয়া যে অর্থ লন, তাহ পরে তাহাদিগের অশেষ যন্ত্রণাদায়ক হইবেই হুইবে । তাহার। কন্যা বিক্রয় করিয়া যতগুলি টাকা সংগ্রহ করেন, র্তাহাদের জন্য যমালয়ে ততগুলি কণ্টকশয্যা প্রস্তুত হইয়া থাকে। এই জন্য অমুরোধ যে— “ ন কন্যায়াঃ পিতা বিদ্বান গৃহীয়াৎ শুক্ৰমণ,পি । গৃহ্লন শুল্কং হি লোভেন স্যান্নরোইপত্যবিক্রয়ী ৷ ” ( ধৃতি: ) অর্থাং জ্ঞানবান সূত্র কন্যাদান নিমিত্ত কদাপি কিঞ্চিরাত্র পণ গ্রহণ করবেন না। লোভাগঞ্জ হইয়। পণ গ্রহণ করিলে সস্তান বিক্রয় করা হয়। ঐবেচারাম চট্টোপাধ্যায়-( ঝিলাম ) সাংখ্যদর্শন । তৃতীয় অধ্যায়। যদি এরূপ হইল, তবে উপাসনায় ফল কি ? এই আভাসে স্বত্রকার উনত্রিংশ সুত্রের আরস্ত করিতেছেন । ভাবনোপচয়াং শুদ্ধস্য সৰ্ব্বং প্রকৃতিবং I ২৯ ॥ সু । ভাবনাখোপাসনানিম্পত্তা শুদ্ধস্য নিষ্পাপস্য পুরুষস্য প্রকৃতেরিব সৰ্ব্ব
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫২
অবয়ব