বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ ও মহাভারত । ৩৪১ . দিলেন। রাজমহিষী পতির নির্বন্ধাতিশয়, অতিক্রম করিতে না পারিয়া তাহাতেই সন্মত হইলেন। এখানে রা, মোবার দেখিতে পাওয়া যায়, দশরথ রাজা সস্তানহীন ; কিন্তু ক্ষেত্ৰজ পুত্র উৎপাদন করিতে র্তাহার এক বার ও প্রবৃত্তি জন্মে নাই,-–সে কথা তিনি একবারও মুখে আনেন নাই। সন্তান-কামনায় তিনি দৈবানুষ্ঠান করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। সভ্য ও বুদ্ধিমান রাজার যাহা কৰ্ত্তব্য, তিনি তাহাই করিলেন,—মন্ত্রভবনে অমাত্যগণের সহিত পরামর্শ করিয়া তিনি গুরু পুরোহিতকে আনাইলেন। তিনি পুত্রেষ্টি যজ্ঞে সৰ্ব্বগুণসমন্বিত রামরত্ব লাভ করলেন । - - ব্যাস ভূমণ্ডলে অবতীর্ণ হইবার কিছু পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের মহিলাগণ অনবরাদ্ধা ও স্বচ্ছন্দবিহারিণী ছিলেন । র্তাহার স্বীয় পতিকে অতিক্রম করিয়া পুরুষান্তরে উপগত হইলে তদীয় সতীত্ব গুণে কলঙ্ক স্পর্শ ইত না (২)। পরিশেষে দীর্ঘতম ও শ্বেতকেতু স্ত্রীজাতির একমাত্র পতিপরায়ণতা ধৰ্ম্মের নিয়োগ করিলে রমণীগণের পূর্ব স্বাধীনতা রহিত হইয়া আসিল । তথাপি ঐ কুৎসিত ব্যবহার ব্যাসের সময় যে এককালে অপ্রচলিত হইয়াছিল এমন দেখা যায় না। স্বয়ং ব্যাস ও পাণ্ডু প্রভৃতির জন্ম তাহার প্রমাণ স্থল। প্রাচীন-কালের এই এক আশ্চৰ্য্য রীতি দেখা যায়, সন্তান না জন্মিলে ক্ষেত্ৰজপুত্র উৎপাদন করিতে প্রায় সকলেরই প্রবৃত্তি হইত। দীর্ঘতম। এখানে স্বীয় পত্নীর উপর বিরক্ত হইয়া স্ত্রীজাতির স্বেচ্ছাচরিত্ব নিষেধ করিলেন, কিন্তু স্বয়ং আবার সেই নিয়ম ভঙ্গ করিয়া বলিরাজার মহিষীকে সম্ভোগ করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ দেখা যায় । ফলতঃ এখন আমরা যাহাকে ব্যভিচার বলি, পূৰ্ব্বকালে তাহা মহাত্মাদিগের পূজিত ছিল । বাল্মীকির সময়ে সমাজের অবস্থা আর সেরূপ ছিল না । সৎকুলোদ্ভব ভদ্রকন্যা নিজ পতিকে অতিক্রম করিয়া পরপুরুষের সহবাসমুখ ঘূণাকর বোধ করিতেন, তজ্জন্য রামায়ণে সেরূপ নিয়ূর্ণ ব্যবহার ( ২ ) দীর্ঘতম জন্মান্ধ ছিলেন । প্রদ্বেধী নাম্নী উহার স্ত্রী পতির ভয়ণ পোষণ করিতে অসস্মত হইলে মহর্ষি কোপাবিষ্ট হইয়। এই নিয়ম স্থাপন করিলেন যে,— অy্য প্রভৃতি মর্যাদা ময় লোকে প্রতিষ্ঠিতা এক এক পতিনাৰ্য্যা যাবজ্জীবং পরায়ণং মহাভারত । , আজ হইতে লোকে আমি এই নিয়ম স্থাপন করিলাম যে, স্ত্রীলোকেরা যাবজ্জীবন কেবল একমাত্র পতিপরায়ণ হইয়া থাকিপেন । *