পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> २ २ কল্পদ্রুম | রাখিলে তংস্থানের বায়ুতে শতকরা ১০ । ১১ ভাগ ক্ষারজান হইলে উহাদের আর চৈতনা থাকে না। যোগিদিগর পক্ষে প্রশ্বাসিত বায়ু পুনঃ পুনঃ সেবন চৈতন্য হরণের একটা সহজ উপায়। ফুসফুস হইতে যে পরিমাণে ক্ষার জান নির্গত হয়, সেই পরিমাণে দেহে অম্লজানের আবশ্যক হইয়া থাকে। যে সকল প্রাণীর শ্বাসক্রিয়। ধীরে ধীরে নির্দেহ হয়, তাহাদের দৈহিক সন্তাপ অল্প। কিন্তু সহদের শ্বাস প্রশ্বাস ঘন ঘন নিপন্ন হইতে থাকে, তাহদের দৈহিক সন্তাপ অপেক্ষাকৃত অদিক দেখা যায় । শিশুদিগের শ্বাস প্রশ্বাস অত্যন্ত ঘন ঘন বহিতে থাকে এবং তাহদের দেহের স্বাভাবিক সন্তাপ ও অধিক, কিন্তু তাহার ক্ষুংপিপাসা সহজে সহ্য করিতে পারে না । যুব ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বসের সংখ্যা এবং শারীরিক সন্তাপ অনেক অল্প ; কিন্তু ১০৬’ হইতে ১০৯ পর্যন্ত । অনশনে রাপিলে তৃতীয় বা চতুর্থ দিবসে তাহা দের মৃত্যু হয় । সৰ্প জাতির দেহ পক্ষিদেহের ন্যায় উষ্ণ নয়, শরীর ধারণের জন্য অল্প পরিমিত অম্লজান তাহদের ग ও নিৰ্ম্মল বায়ু সেৰন ন৷ করিয়া গুহাদিতে জনায়াসে ধ্যান-নিরত হইয়। জীবিত থাকেন। যে সকল ব্যক্তির মানসিক উদ্বেগের জন্য রাব্রিতে শীঘ্ৰ নি দ্রাকর্ষণ হয় না, এক মনে দীর্ঘস্বর বিশিষ্ট কোন শব্দ ৪৫০ বার স্মরণ করিলে তাহদের o க_ তৃপ্তিজনক নিদ্রার আবির্ভাব হয় । হান, লম, বাম ইত্যাদি । এই সকল শব্দ উচ্চারণের সময় মন একটী বিনয় নিবিষ্ট রাখিব, কদাচ চঞ্চল হইতে দিবে न। স্বায়ুবিক পীড়াতেও শরীর ও মন গ্লন ও উদ্বিগ্ন হইলে এইরূপ শব্দের অনুধ্যানে স্নায়বিক উগ্র তা প্রশমিত হয়। যোগী সমাধি সাধনের সময় অন্য. কোন অনর্থক শব্দ মনন না করিয়া পরমার্থ ফল প্রদ ঈশ্বরের কোন একটা নাম স্মরণ করিতে থাকেন কিন্তু ঐ শব্দ দীর্ঘস্বরবিশিষ্ট এবং অল্পমাত্র অক্ষরে গ্রথিত হওয়া আবশ্যক। তিন কিম্ব ততোধিক বর্ণবিশিষ্ট হইলে সাধনা ভ্যাসের প্রাক ক’লে কুম্ভক ভগ্ন হয়। তদ্ভিন্ন সহজ ভাবে মননের ও সুবিধা হয় না। বিষয় বিশেষের প্রতি মন উদ্বেগ রহিত इकॅग्ना অতি ঋজু ও কোমল ভাবে নিবদ্ধ থাকিবে অথচ স্বাভাবিক অভ্যাসের ন্যায় সহজে শব্দটা রসনায় উচ্চারিত হইবে, কিন্তু উচ্চারণ স্থানগুলি তাহাতে নড়িবে না। সকল