পাতা:কাঙাল হরিনাথ - জলধর সেন.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

78 কাঙ্গাল হরিনাথ জলাশয় অতীত ধনসম্পদের নশ্বরতা দেখাইবার জন্য সেই জঙ্গলের মধ্যে *लिन डांछि । আমরা সেই জঙ্গলে প্ৰবেশ করিয়া যে যে দিকে পারিলাম চলিয়া গেলাম। কাঙ্গাল ও গোস্বামী মহাশয় একদিকে গেলেন। একটু পরেই কাঙ্গালের কণ্ঠস্বর শুনিতে পাইলাম। তখন আমরা যে যেখানে ছিলাম, সেই কণ্ঠস্বর লক্ষ্য করিয়া অগ্রসর হইলাম। আমরা তঁহাদের নিকটে যাইয়া দেখি, তাহারা তঁহাদের উপযুক্ত স্থানই নির্বাচন করিয়া লইয়াছেন। স্থানটীর চিত্ৰ এখনও আমি আমার চক্ষুর সম্মুখে দেখিতে পাইতেছি। একটি জঙ্গলাকীর্ণ পুষ্করিণীর দক্ষিণ পারে একটি অনতিবৃহৎ মন্দির ; মন্দিরটিী ভগ্ন হয় নাই ; কিন্তু মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কোথায় চলিয়া গিয়াছেন। আশে পাশে বড় বড় গাছসকল মাথা তুলিয়া দাড়াইয়া আছে। স্থানটি দেখিলে সত্য সত্যই হৃদয়ে পবিত্রভাবের উদয় হয়। সেই মন্দিরের সোপানে বসিয়া আছেন দুই সাধুপুরুষ-বিজয়কৃষ্ণ ও কাঙ্গাল হরিনাথ। সে যে কি অপূৰ্ব্ব ছবি তাহা আমি বলিতে পারিব না। বিজয়কৃষ্ণ যোগাসনে উপৰিষ্ট, আর তাহার পাৰ্থে গৈরিক-পরিহিত, শ্বেতস্মশ্রীমণ্ডিত, বিশালবক্ষ, গৌরকান্তি কাঙ্গাল হরিনাথ মুদিতনেত্ৰে বসিয়া গান ধরিয়াছেন “বাসাবাড়ী পাকা করা কি ঝকুমারি । কৰ্ম্ম গেলে দু’দিন রইতে নারি। ১। জীবের দেহ কঁচা বাসা, ক্ষণ নাহি ভরসা, তবু পাকা করে আশা করি ; যখন উঠে। মৃত্যু-তুফান ভারি। ২। গাঁথি’ ইট পাতরে পোস্ত, পাকা বন্দোবস্ত, ” করলে যে সমস্ত কোঠাবাড়ী ;