পাতা:কাঙ্গাল হরিনাথ (দ্বিতীয় খণ্ড) - জলধর সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবেশ করিয়া ব্ৰহ্মানন্দে আনন্দিত হয় এবং পাপপথে ভ্ৰমণ করিয়া ব্ৰহ্মানন্দলাভে বঞ্চিত হইয়া থাকে, ভগবানই তাহার কৰ্ত্তা। চন্দ্ৰ যে শক্তিতে ঘুরিতে ঘুরিতে ক্ৰমে সুৰ্য্যের সম্মুখীন হইয়া আলোকিত হয় ও সমসূত্ৰতা লাভ করিয়া পূৰ্ণচন্দ্র হয়, এবং পুনরায় সমসূত্ৰত পরিত্যাগ করিয়া ক্ষয়প্রাপ্ত ও আলোকশূন্য হয়, জীবেরও সেই শক্তি আছে। উক্ত শক্তির নামই জীবের স্বাধীনতা । এই স্বাধীনতাই জীবের কৰ্ম্মোৎপত্তি ও কৰ্ম্মক্ষয়ের কারণ এবং জীব কৰ্ম্মজন্য সুখদুঃখের ভাগী।” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়াই কাঙ্গালের হৃদয়ে কি এক ভাবের উদয় হইয়াছিল। সেই ভাবের প্রেরণায় তিনি গাইয়া উঠিলেন “ম যার আনন্দময়ী, তার ছেলে যে নিরানন্দ । ধনীর ছেলে কাঙ্গাল হয় রে, নিতান্ত তার কপাল মন্দ। ১। গঙ্গাতীরে বসত ক’রে, যে জন পিপাসায় মরে, বিধির বিধান ফেরে, স্রোতস্বতীর স্রোতঃ বন্ধ। ২। অন্নপূর্ণLরন্ধনঘরে, সন্তানগুলি ক্ষুধায় মরে মনের ব্যথা ব’লব কারে, পদ্মলোচন জন্ম-অন্ধ। ৩। বেদবেদান্ত ভেবে অন্ধ, পণ্ডিত হলেন। ধন্ধ, দেখরে, কাঙ্গাল মতি মন্দ, (পদ্ম) ফুলের চাকায় নাই রে গন্ধ।” এই স্থানে একটা কথা বলিয়া রাখি যে, কাঙ্গাল যখন “ব্ৰহ্মাণ্ডবেন্দ’ প্ৰণয়ন করেন, তখন তিনি স্বহস্তে লিখিতেন না। তিনি তত্ত্ব কথায় এমন তন্ময় হইয়া যাইতেন যে, লেখা তাহার পক্ষে সম্ভবপর হইত না। সেই সময়ে যে কেহ নিকটে যাইতেন, তিনিই কথাগুলি লিপিবদ্ধ করিয়া লইতেন । ভাবের আৰোগে তিনি গাইয়া বা বলিয়া যাইতেন ; তখনই তাহা লিখিয়া লইতে হইত। কাগজ কলম প্রভৃতি লইয়া আয়োজন