পাতা:কাদম্বরী (কিশোরপাঠ্য).djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাদম্বরী বাহিরে শিলাতলে গভীর ঘুমে মগ্ন । আমিও বাহিরে শুইয়া আছি, এমন সময়ে সেই তুষ্ট ব্রাহ্মণ-কুমার আবার আসিয়া নিতান্ত পরিচিতের মত আমাকে কতকগুলি অসঙ্গত কথা বলিয়া বসিলেন । আমি ক্রোধে আত্মহারা হইয়। র্তাহাকে খুবই ভৎসনা করিলাম, তারপর মহাদেবের নাম লইয়া শাপ দিলাম, সে যেন পক্ষী হইয়া জন্মগ্রহণ করে। জানি না আমার শাপের ফলে না অন্য কোন কারণে সেই ব্রাহ্মণ-কুমার অচেতন হইয়া পড়িয়া গেলেন । শীঘ্রই তাহার সঙ্গীর তাসিয়া বিলাপ করিতে লাগিল । তাহদের মুখে শুনিলাম, ঐ ব্রাহ্মণ-কুমার আপনার পরম বন্ধু। এই বলিয়া লজ্জায় মুখ অবনত করিয়া আবিরল ধারায় কাদিতে লাগিলেন । মহাশ্বেতার মুখে প্রিয় বন্ধুর চরম দুর্দশার কথা শুনিয়া চন্দ্রাপীড় মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন । তরলিকা কোন মতে র্তাহার চেতনা শূন্ত দেহ ধরিয়া ফেলিল। মহাশ্বেতা, তবলিক ও রাজকুমারের সঙ্গীর সকলে ‘হায়, হায়’ করিয়া কাদিতে লাগিল। চন্দ্রৗপীড়ের অবস্থা দেখিয়া ইন্দ্রায়ুধেরও চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল । এদিকে কাদম্বরী সংবাদ পাইলেন, চন্দ্রাপীড় মহাশ্বেতার আশ্রমে আসিয়াছেন । তিনি আর রাজকুমারের জন্য অপেক্ষা করিলেন না, পত্ৰলেখাকে লইয়া ছুটিয়া আশ্রমে আসিলেন । কিন্তু আসিয়াই যে দৃশ্ব দেখিলেন, তাহাতে আর ԳՀ