পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের পরিচয় সবিশেষ অবগত নহি । সম্ভবতঃ কাব্যশাস্ত্রে পারদর্শিতা লাভ করিয়া তিনি শেষোক্ত উপাধি প্রাপ্ত হইয়া থাকিবেন। অধ্যয়ন শেষ করিয়া তিনি সংস্কৃত কলেজের লাইব্রেরিয়ানের পদে নিযুক্ত হন। দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ-সম্পাদিত ‘সোমপ্রকাশ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখনী চালনা করিতেন,— পঠদ্দশ হইতেই বঙ্গসাহিত্যের প্রতি র্তাহার প্রগাঢ় অতুরাগ ও একান্ত নিষ্ঠা ছিল। | সংস্কৃত সাহিত্যের মহাকবি বাণভট্ট-বিরচিত 'কাদম্বরী’ নামক প্রসিদ্ধ গদ্যগ্রন্থ-অবলম্বনে তারাশঙ্কর বাঙ্গালা গদ্যে 'কাদম্বরী’ প্রণয়ন করেন। র্তাহার কাদম্বরী ১৯১১ সংবতে, ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে, মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। ইহার পূৰ্ব্বে ১৮৫১ সালে ‘ভারতবর্ষীয় স্ত্রীগণের বিদ্যাশিক্ষা’ নামে একখানি পুস্তিকা তিনি মুদ্রিত ও প্রকাশিত করিয়াছিলেন । কাদম্বরী-প্রকাশের পাচ বৎসর পরে ১৯১৬ সংবতে, ১৮৫২ গ্রে, তিনি ডাক্তার সামুয়েল জনসন প্রণীত রাসেলাস' (Rasselas Prince of Abissinia) উপন্সাস অবলম্বন করিয়া বাঙ্গালা গদ্যে রাসেলাস’ নামক গ্রন্থ লেখেন । এতদ্বভিন্ন তিনি অন্ত কোন পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন কিনা, আমরা জানি না / । শুনা যায়, তিনি দুইটি বিবাহ করিয়াছিলেন , তাহার কোন পুত্র-সন্তান ছিল না, একটিমাত্র কন্যাই তাহার নয়নের মণি ছিল । তিনি সেই মেয়েটির নাম রাখিয়াছিলেন কাদম্বরী। ইহা হইতে