(a ) কলাপনারায়ণ রায়ের সভা পণ্ডিত রামানন্দ মিশ্র ‘কুলদীপিকা’ নামী বঙ্গজ কারন্থগণের এক সামাজিক গ্রন্থ, লিখেন তাহাতে আছে। “কায়স্থোস্ত্যজয়ৎ স্বত্রং বেীদ্ধেতু বিপ্রহীনতঃ ।” অর্থাৎ বৌদ্ধ প্রভাব প্রতিপত্তির সময় বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ অভাবে কায়স্থ যজ্ঞ স্বত্র পরিত্যাগ করিয়াছেন। ব্রাহ্মণ অভাবে যে পৈতাটা যায় একথা ভগবান মন্থও বলিয়াছেন , বঙ্গ দেশেও কি তাইই হইয়াছিল ? তবে বঙ্গে এই ব্রাহ্মণ অভাবটা কতদিন হইতে হইয়াছিল ? প্রায় আটশত বর্ষ পূৰ্ব্বে বঙ্গেশ্বর লক্ষ্মণসেনের সভা পণ্ডিত স্মৃতি শাস্ত্রে বিশারদ হলাযুদ্ধ বলিতেছেন , “তত্ৰচ কলেী আধুঃপ্রজ্ঞোৎসাহ শ্রদ্ধাদীনামল্লত্বাং তৎ উৎকল পাশ্চাত্যাদিতিবেদাধ্যয়ণমাত্ৰং ক্রিয়তে। বাৰ্টীয়বারেন্দ্রাস্ত অধ্যয়নং ৰিন তেভ্য রামায়ান জগৃহে বৃষলম্বং মুমুচুরপিকিয়দেকদেশ বেদার্থস্ত কৰ্ম্ম মীমাংসা দ্বারেন যজ্ঞেতি কৰ্ত্তব্যতা বিচারঃ ক্রিয়তে। ন চৈতে নাপি মন্ত্র কৰ্ম্ম বেদার্থ জ্ঞানং যতস্তৎ পরিজ্ঞান এব শুভ ফলং তদজ্ঞানে চ দোষঃ শ্রীয়তে |” ব্রাহ্মণ সৰ্ব্বস্ব । অর্থাৎ—এক সময়ে লোকের আয়ু যথার্থ জ্ঞান উৎসাহ শ্রদ্ধা প্রভূতির হ্রস্বতা নিবন্ধন কেবল পাশ্চাত্য এবং দাক্ষিণাত্য ব্রাহ্মণ সম্প্র ബ അംജ്ഞ ബ ബ
- (১) উপরোক্ত হলায়ূধ বচনটা যথাক্রমে লালমোহন বিদ্যনিধির সম্বন্ধ নির্ণয়ে, এবং কায়স্থ পত্রিকার ১৬ সংখ্যা, শ্ৰীযুক্ত পরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এম, এ, বি, এল প্রণীত “বাঙ্গালাব পুরাবৃত্তে” বিভিন্ন প্রকার দৃষ্ট হইল। উহার একজনের উদ্ধতাংশও মূল ব্রাহ্মণ সৰ্ব্বম্বের সহিত মিল নাই। পূৰ্ব্বোক্ত গ্রন্থদ্বয়েত বহুস্থলে বাদ ছাট ব্যাকরণ দোষ আছে, শেষোক্ত গ্রহ্নের উদ্ধত বাক্যাবলী কাশী হইতে প্রকাশিত পুথির সহিত যৎকিঞ্চিৎ বৈষম্য আছে। কিন্তু অপর একখানা বহু পুরাতন মুদ্রিত পুথিতে উপরোদ্ধত প্রকার প্রাপ্ত হওয়া গেল। এই পুধি বহুবাজার প্রসিদ্ধ এ, সি, জাঢ়িার পুস্তকালয়ে
জাছে । - .
