পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ কায়স্থ-প্রসঙ্গ । শিষ্য। প্রভো, প্রচলিত তান্ত্রিকদীক্ষার দ্বারাও ত উহার অভাবপূরণ হইতে পারে ? গুরু। না, তা পারে না । কেহ বা মরণকাল পর্য্যন্ত দীক্ষা গ্রহণ করেন না। কেহ বা বাৰ্দ্ধক্যে, কেহ বা প্রৌঢ়ে, বড় জোর কেহ বা যৌবনে দীক্ষা গ্রহণ করেন। নানাবিধ বাসনার আগুনে জলিয়া পুড়িয়া চিত্ত তখন কঠিন হইয় পড়ে। কঠিন চিত্তে ধৰ্ম্মের ছাপ পড়েনা । মন্ত্রটকে পোষাকী কাপড়ের মত তুলিয়া রাখা হয়। ছাড় ছাড় ভাবে দিনের মধ্যে ২১ বার ব্যবহার করা হয় মাত্র। উহা দ্বার আধ্যাত্মিক জীবনের কোন প্রকৃত পরিবর্তন ঘটে না । শিষ্য । আচ্ছা প্রভো | ব্রাহ্মণ বালকগণ ত কিশোর বয়সেই উপনয়ন গ্রহণ করে, তবে সে জাতির এরূপ আধ্যাত্মিক অধঃপতন কেন ? গুরু । বৎস ! প্রতিযোগিতা ভিন্ন ব্যক্তি বা জাতি বড় হয় না । কৈফিয়ং লইবার লোক না থাকিলে মানবের পতন অবশ্যম্ভাবী। সংঘর্ষের ফলে শক্তিসঞ্চয় হয়, ইহা স্বাভাবিক নিয়ম । যে সময় হিন্দু সমাজ জীবন্ত ও উন্নত ছিল সে সময়ের কথা একবার স্মরণ কর দেখি । একদিকে যেমন ক্ষত্রিয়কুলে মহারাজ অজাতশত্রু, বিশ্বামিত্র, জনক, রামচন্দ্র, ভীষ্ম, যুধিষ্ঠির ও কৃষ্ণাৰ্জুন প্রভৃতি রাজৰ্ষির আবির্ভাব, অন্যদিকে তেমনই ব্রাহ্মণকুলে যাজ্ঞবল্ক্য, বশিষ্ট, ভৃগু, পরাশর ও ব্যাসাদি মহৰ্ষির অভু্যদয় । বংস, একমাত্র ক্ষত্রিয়ের অভাবই আমাদের সমাজের দুরবস্থার কারণ। সুযোগ্য কায়স্থ জাতি যখন ক্ষত্ৰিয়াচার সম্পন্ন হইয়া ব্রাহ্মণের পার্থে দাড়াইবেন, প্রতিযোগিতায় তখন ব্রাহ্মণ জাতির উন্নতিও অনিবাৰ্য্য । নচেৎ সমাজের উন্নতির উপায়াস্তর নাই। ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ই সমাজের আদর্শ, অতএব তাহাদের উন্নতিতেই সমাজের উন্নতি অবশুম্ভাবী । । বৎস ! কায়স্থ জাতি জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, আচারে, অমুষ্ঠানে, সভ্যতায় ও প্রতিভায় একমাত্র ব্রাহ্মণের সঙ্গেই তুলিত হইবার উপযুক্ত, অন্ততঃ