পাতা:কায়স্থ-প্রসঙ্গ - সরোজকুমার সরস্বতী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

酸8 কায়স্থ-প্রসঙ্গ । ইহাও আমি স্বীকার করি যে এই উত্তেজনার ভিতর কোন কোন জাতির অনধিকার চর্চা আছে, অন্যায় দাবী আছে, উচ্ছ স্বলতাও আছে। তথাপি আমি ইহাও অস্বীকার করিনা যে জড়ত। অপেক্ষ উচ্ছ জ্বলতা ভাল, পঙ্গুতা অপেক্ষা চাঞ্চল্য ভাল। অন্তত: উহাতে প্রাণের সাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু সমাজ যেরূপ বহু শতাব্দী যাবৎ গতানুগতিক ভাবে চলিয়৷ আসিতেছিল, তাহাতে হৃদয়ের বিকাশ ছিল না, প্রাণের স্পন্দন ছিলনা, জীবনীশক্তির কোন ক্রিয়াই ছিলনা। একটা প্রাণহীন যন্ত্রের মত এক নির্দিষ্ট পথে চালিত হইতে ছিল মাত্র। ইহা সামাজিক জীবনে যার পর নাই ভয়ঙ্কর অবস্থা। মনে কর সমাজ একটি সম্পূর্ণ দেহের সদৃশ । কোন একটিমাত্র অঙ্গের পুষ্টির দ্বারা দেহের সৌষ্ঠব রক্ষা হয় না, এমন কি তদবস্থায় দেহকে সুস্থ বলাই চলে না । অস্বাভাবিকভাবে কোন অঙ্গ ক্ষীণ, কোন অঙ্গ পীন, ইহা নিতান্তই অস্বাস্থ্যের পরিচায়ক, যতক্ষণ না সমগ্ৰ দেহ স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। ঐ রূপ, বিভিন্ন জাতি লইয়া সমাজ দেহ গঠিত, অর্থাৎ বিভিন্ন জাতি সমাজের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ । মনে কর, ব্রাহ্মণ জাতিই সমাজদেহের উত্তমাঙ্গ, কিন্তু একমাত্র উত্তমাঙ্গের উন্নতিকেই কি সমগ্র দেহের উন্নতি বলিয়া স্বীকার করা যায়? অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হইলে, কেবল মস্তিষ্ক সতেজ থাকিলেই কি মামুষকে স্বস্থ বলা চলে ? পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কই কি অবিকৃত থাকে ? কখনই নয় । তাই সমাজের মস্তকস্বরূপ ব্রাহ্মণ জাতির এই বর্তমান দুরবস্থা। যে জাতি এক সময়ে পারমার্থিক ঐশ্বৰ্য্যের সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ হইয়া রাজসিংহাসনও চাহিতেন না, আধ্যাত্মিক বৈভবের অভাবে অকিঞ্চিৎকর অর্থের জন্য আজ কিনা সেই জাতি হীনভাবাপন্ন হইয়া মেচ্ছেরও কৃপার ভিখারী। বর্ণাশ্রমধর্শ্বের এই শোচনীয় পরিণাম প্রকৃতির সহিষ্ণুতার সীমা অতিক্রম করিয়াছে। তাই প্রাকৃতিক চাঞ্চল্যের নিদর্শন স্বরূপ বিভিন্ন জাতির মধ্যে আত্মমৰ্যাদাজ্ঞানের উদ্বোধন। এতদ ষ্টে