পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাৎপৰ্য্য । bg পদার্থে চিত্ত প্রথমতঃ উল্লসিত ও উদ্দীপিত হয়, তখন সেই উল্লাস-ময় চিত্তে ভোগের আকাঙ্ক্ষা উদিত হয়, ক্রমে নানাবিধ অভিলাষ বা ব্যভিচারী ভাবের উদয়ে হৃদয়ের সেই ভোগাকাঙক্ষা নিরতিশয় বলবতী হইয়া উঠে, সে হৃদয় একান্ত উৎসুক, উৎকণ্ঠিত হইয়া পড়ে। পরে, প্রীতি বা ভোগে সে হৃদয়ের ঔৎসুক্য-উৎকণ্ঠার কথঞ্চিৎ উপশম হয়। কবি, দেবতাদের দ্বারা সেই জন্যই, উদ্দীপন বসন্ত, অভিলাষ বা বাসনারূপী কাম এবং ভোগ বা প্ৰীতিরূপিণী রতি- এই তিনজনকে প্রেরণ করাইলেন। বসন্ত-রূপী বহি-ৰ্জগৎ এবং রতি-কাম-রূপী অন্ত-র্জগৎ-এই উভয়ের সহায়তায়, এই ভাবে দেববৃন্দ শিবের সর্বনাশী-সাধনে তৎপর হইলেন। কিন্তু স্কুল-দৃষ্টিতে যাহাকে সুন্দর পদার্থ বলা যায়, তদপেক্ষা সুন্দর পদার্থও এ জগতে আছে। লোকে ংসারের নানাবিধ সৌন্দর্ঘ্যে বিমুগ্ধ হইয়া, যেমন ঘোর সংসারী সাজিয়া সৌন্দৰ্য্যের উপভোগ করে, তেমনই আবার, এই আপাততঃ সুন্দর বলিয়া প্ৰতীয়মান সংসার ব্যাপারে একান্ত ভীত ও কাতর হইয়া, অনেক বিবেক-সম্পন্ন মনস্বী মহাজনও নিত্য এবং নিরবচ্ছিন্ন সুন্দরতম পদার্থের অন্বেষণে গহন অরণ্যে আশ্রয়গ্ৰহণ করিয়া থাকেন।, সংসার-সৌন্দৰ্য তঁহাদের নিকট নিতান্ত অলীক-অকিঞ্চিৎকর । তাই রতি, মদন ও বসন্ত-তিন জনকে সম্মুখে দণ্ডায়মান করিয়া, তঁহাদের সম্পূর্ণ প্রভাবের দ্বারা সৌন্দৰ্য্য-তরঙ্গিণী উমার হৃদয় আবেগ-যুক্ত করিয়া, কবি, লাবণ্যময়ী উমাকে যখন ত্ৰিলোচনের নয়ন-পথাবৰ্ত্তিনী করিলেন, তখন ।