পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশ SOC তত আরও ভোগের বাসনা জন্মিবে। সুনীল সূরাসী-ব্ৰক্ষে সুন্দর শতদল যত দেখিবে, তত আরও দেখিতে আকাঙক্ষ হইবে। সুন্দর পবিত্র মূৰ্ত্তি যত অবলোকন করিবে, তোমার হৃদয়ে সেই মূৰ্ত্তি-দর্শন-পিপাসা তত আরও অধিক জাগিয়া উঠিবে। ক্রমে তোমার হৃদয়ে সেই পবিত্ৰ-মুক্তি-বিষয়ক অনুরাগ জন্মিবে, পবিত্রতার প্রতি অনুরাগ জন্মিবে। এই ভাবে, তোমার হৃদয়, আপনিই পবিত্ৰ হইয়া উঠিবে। তাই বলিতেছিলাম, শত শত উপদেশে, শত শত শাসনে, শত শত অনুরোধে, যে কাৰ্য্য না হয়, কবির একটি মাত্র সর্বাঙ্গসুন্দর চরিত্র-সৃষ্টিতে তাহা সাধিত হয় । t কাব্যের এই সৌন্দৰ্য্য কোনও নির্দিষ্ট-বিষয়ে নিয়ত নহে। কেবল রূপ, গুণ, বা কেবল কোন বিশেষ অবস্থার বর্ণনে সৌন্দৰ্য পরিস্ফুট হয় না। দেশ, কাল, পত্র, রূপ, গুণ, অবস্থা, কাৰ্য্য প্রভৃতির সমষ্টি দ্বারা যদি কোন সুন্দর পদার্থ সৃষ্টি করা যায়, তবে তাহার যে সৌন্দৰ্য্য, তাহাই প্ৰকৃত সৌন্দৰ্য্য। তাঁহাই কবি-সৃষ্টির চরমোত্কৰ্য। নতুবা, অন্যান্য সমস্ত উপেক্ষা পূর্বক, কেবল, নায়িকার চিকুরবর্ণনাতেই যদি সর্গের অৰ্দ্ধেক ব্যয়িত্ব হয়, তবে তাঁহাতে সৌন্দৰ্য ফুটিবে কেন ? পরন্তু তাহা বিরক্তি-করই হইবে । সৃষ্টি-নৈপুণ্যই কবির প্রথম এবং প্রধান গুণ। সেই সৃষ্টিনৈপুণ্যের কোন স্থানে ত্রুটি ঘটিলে, কাব্যের যেমন অঙ্গ-হানি হয়, তদ্রুপ, লোকশিক্ষা এবং সমাজশিক্ষারূপ য়ে উচ্চ উদ্দেশ্য