পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्जीिश्र । Nò, 8 SO সুদক্ষিণা নিজহস্তে কুসুম-দামি রচনা করিয়া ধেনুর গলায় পরাইয়া দিলেন। রাজা ধেনুর সহিত বনে যাত্ৰা করিলেন। দিলীপ কত প্রকারেই না নন্দিনীর সেবা করেন। কখন বন-চারিণী নন্দিনীর মুখের নিকটে সুমিষ্ট তৃণকবল তুলিয়া ধরেন, কখন গাত্ৰ-কণ্ডয়ন করিয়া দেন, কখন মশাকাদি নিবারণ করেন। নন্দিনী যখন যেস্থানে যান, সম্রাটুও তখনিই তঁহার অনুবৰ্ত্তন করেন । এইভাবে দিলীপের দিন কাটিতে লাগিল। তাহার যেন একটা পৃথগস্তিত্বই রহিল না। তিনি যেন সেই ধেনুর ছায়াময় হইয়া গেলেন। কাল যিনি, সাগর।াম্বর ধরণীর অদ্বিতীয় অধীশ্বর ছিলেন, ছত্র-চামরাদিরূপ রাজ-সম্পদে যাহার সিংহাসন অলঙ্কত ছিল, আজ তিনি, সেই মহারাজ চক্ৰবৰ্ত্তী, ‘লতা-প্রতান’-দ্বারা কেশ-সংযমনপূর্বক, ধনুর্বাণ ধারণ করিয়া ‘মুনিহােম-ধেনুর’ পশ্চাৎ পশ্চাৎ ভ্ৰমণ করিতেছেন। পূর্বে যিনি রাজ-পথে বহির্গত হইলে পৌর-কন্যাগণ “আচার-লাজ” বিকীর্ণ করিয়া রাজার মঙ্গলাহবান করিতেন, আজ বন-চারী সেই নর-নাথের মস্তকে, বাল-লতিকা-শ্রেণি, মন্দ মন্দ মরুদান্দোলিত হইয়া, অঞ্জলি অঞ্জলি কুসুম-রাশি বর্ষণ করিতেছে। পূর্বে । যাহার চতুর্দিকে অগণিত বন্দিবৃন্দ নিয়ত স্তুতি-পাঠ করিত, আজি নির্জন-বন-বিহারী নিরনুচর। সেই পৃথিবীপতি একাকী ধেনুর সহিত বনে বনে পৰ্যটন করিতেছেন, আর তরুশিরে উন্মদ শকুন্ত-নিচয় কলকণ্ঠে কৃজন করিয়া তাঁহার সেবা করিতেছে। মারুতা-পূর্ণ কীচক রন্ধু, মধুর বংশি স্বরে কানন-ভূমি ঝঙ্কারিত