পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

frá Nà 8 ( সে দুগ্ধপান করে নাই, দুগ্ধ-ভারে নন্দিনীর আপীন দুৰ্বহ হইয়া পড়িয়াছে। একে ত নন্দিনী নিজে স্কুলাঙ্গী, তাহার উপর আবার দুগ্ধ-পূর্ণ। আপীনের দুৰ্বহ ভার, তিনি অতি প্ৰয়াসের সহিত, দুলিতে দুলিতে আশ্রমে প্ৰত্যাবৃত্ত হইতেছেন, আর স্থূলকায় নরপতি ও দিবাশ্রমে ক্লান্ত হইয়া, শরীর-ভার-বহনে যেন অসমৰ্থতা-প্ৰযুক্তিই দুলিতে দুলিতে, নন্দিনীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছেন, তাহদের উভয়ের এই দোলায়িত গতি দ্বারা তপোবন-পথের এক অভিনব, সুন্দর শোভা জন্মিয়াছে । সেই কখন—প্ৰত্যুযে, মহারাজ দিলীপ গোচারণে নিৰ্গত হইয়াছেন, এখন সন্ধ্যা, তিনি এখনও ফিরিলেন না, তাই পতিব্ৰতা সুদক্ষিণ আকুল-নয়নে বন-পথের দিকে চাহিয়া আছেন, এমন সময়ে দূরে, নন্দিনী ও রাজা দেখা দিলেন ; সমস্ত দিনের মধ্যে একবারও নরনাথকে দেখিতে পান নাই, তাই রাজ-মহিষী আনিমেষ-নিয়নে, প্ৰাণ ভরিয়া, তাহাকে দেখিতে লাগিলেন । নন্দিনী আশ্রমে উপস্থিত হওয়া মাত্রেই রাজ্ঞী সুদক্ষিণ তাহাকে প্ৰদক্ষিণ ও প্ৰণাম করিয়া অৰ্য্যাদি দ্বারা তাহার অৰ্চনা করিলেন। ক্ৰমে, রাজা ও রাজ্ঞী সায়ংকালোচিত সন্ধ্যাবন্দনাদি সমাপ্ত করিয়া, গুরু-গুরু-পত্নীর পাদ-বন্দনা করিলেন। দীপ জ্বালিয়া রাত্ৰিতেও তঁাহারা কত প্রকারে নন্দিনীর সেবা করেন। পরে নন্দিনী যখন নিদ্রিতা হয়েনি, তখন তাহারাও একটু নিদ্রিত হইবার চেষ্টা করেন ; আবার প্রত্যুষে, নন্দিনীর SO