পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8V কালিদাস । জাগরণের পূর্বেই, তাহারা দিবসের সেবার জন্য বদ্ধ-পরিকর হয়েন। এই ভাবে তাঁহাদের দিন কাটিতে লাগিল । এক দিন নন্দিনী ঘুরিতে ঘুরিতে হিমালয়ের এক গুহার মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন। হিমাদ্রির সে স্থানটি অতিশয় মনোরম। তথায় শিখর হইতে পতিত কালনাদিনী গঙ্গার প্রবাহ-ধারায় সমস্ত দেবদারু-বন নিয়ত সিক্ত। সে দৃশ্য বড়ই সুন্দর। মুনির হোমধেনু, তিনি ত দেবতা, তাহার। আবার বিপদ কি ?-এই ভাবিয়া ক্ষিতীশ্বর ক্ষণকালের জন্য হিমালয়ের সেই অনির্বাচ্য সৌন্দৰ্য্য দৰ্শন-বাসনায় যেমন সেই দিকে নয়ন প্ৰহিত করিয়াছেন, আমনি হঠাৎ কোথা হইতে এক ভয়ঙ্কর সিংহ আসিয়া নন্দিনীকে আক্রমণ করিল । নন্দিনী উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিয়া উঠিলেন, তাহার সেই আক্ৰন্দন-ধ্বনি গুহায় গুহায় প্ৰতিধ্বনিত হইয়া আরও উচ্চৈস্তর হইল। আতুরের সখা দিলীপও সেই কাতর-স্বরে চকিত হইয়া, তৎক্ষণাৎ ধনুকে বাণ-সংযোগ করিয়া নন্দিনীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। তিনি দেখিলেন, সেই লোহিতাঙ্গী ধেনুর মাংসল দেহের উপর এক প্ৰকাণ্ড কেশরী বসিয়া আছে। তাহার শ্বেত বর্ণ কেশর-কলাপ পাৰ্বতীয় বায়ুবশে কম্পিত হইতেছে, দেখিলে মনে হয়, যেন পৰ্বতের কোন গৈরিক-ধাতু-রঞ্জিত অধিত্যকায় একটি প্ৰকাণ্ড লোধ-দ্রব্রুমে অসংখ্য লোপ্র-কুসুম ফুটিয়া রহিয়াছে, আর সেই শ্বেতবর্ণ কুসুম-রাশিতে সমস্ত বৃক্ষটাও যেন শ্বেত হইয়া গিয়াছে । আশ্রিত-বৎসল দিলীপ তৎক্ষণাৎ সিংহের