পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

noSO ryfelwir সুন্দর সুন্দর অংশ, সূক্ষম সূক্ষম অংশ,-যাহা মানুষের স্কুল নয়নে সহসা উপলব্ধ হয় না, সেই সকল অংশ, অতি সংযত-হস্তে চিত্ৰিত করিয়া, সামাজিকগণের সম্মুখে এক প্ৰাতঃসমীর-স্নিগ্ধ নূতন জগতের দ্বার উন্মোচন করিয়া দিয়াছেন। তথায় প্রবেশ কর, দেখিবে, সে জগতের সবই সুন্দর, সমস্তই মনােজ্ঞ, মধুর বালারুণ কিরণে তত্ৰত্য প্রতিপদার্থই সমুজ্ঞাসিত। - কালিদাস কোথাও প্রস্ফটিত কুসুমের বর্ণন করেন নাই। যে কুসুম ফুটিতে আরম্ভ করিয়াছে, ফুটিতেছে-তােহাই তাঁহার প্ৰতিপাদ্য। তিনি উত্তালতরঙ্গ-ভীমা তটিনীর নিকটেও যাইতেন না। যে নদীতে মৃদু সমীরণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বীচিমাল উঠিতেছে, ভাঙ্গিতেছে, মিলিতেছে, তাহাই তাহার প্রতিপাদ্য। তিনি কোন বিষয়েই অতিমাত্রার পক্ষপাতী ছিলেন না । তিনি যে সময়ে আবিভূতি হইয়াছিলেন, তখন ভারতে লেখা পড়ার চৰ্চা অত্যন্ত প্ৰবল ছিল। ভারতের সর্বত্রই তখন বিদ্যাচর্চারজ্ঞান-লিপসার খরস্রোিণত প্ৰবাহিত। তখন ভারতে সুরসিকসুপণ্ডিত সামাজিক অনেক। তখন বিদ্যার-গৌরবে, শিল্পের গৌরবে, কলার গৌরবে ভারত জগতের শীর্ষস্থানীয়। ওরূপ সময়ে, ভারতের ঐ প্রকার স্পৰ্দ্ধার দিনে, কোন দিকে কোন বিষয়ে, কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিলে, বা অতি মাত্রায় কোন কাৰ্য্য করিতে গেলেই যে, তৎক্ষণাৎ সুপণ্ডিত-সমাজে অপদস্থ হইতে হইবে, এতত্ত্বটা কবিকুল-রাবি কালিদাস, অতি নিপুণ-ভাবে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন। সেই জন্যই তঁহার গ্রন্থাবলীর কুত্রাপি