পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । O8 সঙ্গীতের দ্বারা নরপতিকে সুসানাহারের সময় উদ্বোধিত করিয়া দিল। সকলেরই চমক ভাঙ্গিল। বেলা অধিক হইয়াছে। সভা ভঙ্গ হইল। সকলে স্ব স্ব কক্ষাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। ষটত্রিৎশ অধ্যায়। উপবনে মালবিকা । মালবিকা, আশা এবং নৈরাশ্য—উভয়ের অধীন হইয়া, আচাৰ্য্যগৃহে সুদীর্ঘ দিনযামিনী কোন মতে অতিবাহিত করিতেছেন । নব বসন্তের আবির্ভাবে উৎসবময়ী বিদিশা-নগরীর সৌন্দৰ্য্যা শতগুণ বদ্ধিত হইয়াছে। নগরের উপবন সমূহ কুসুমাভারণে সুসজ্জিত। নাগরিকগণের হৃদয়ের সহিত, উপবনরাজিও যেন আনন্দে পরিপূর্ণ। নগরের মধ্যে রাজার যেমন উদ্যান, রাণী ধারিণীরও তেমনই এক মনোহর উদ্যান আছে। মহারাণী স্বয়ং সেই উদ্যান-বাটিকার তত্ত্বাবধান করেন। বালপাদপে জল-সেচন করেন । উদ্যানের উপর তাহার এতই যত্ন। বসন্তের সমাগমে, সকল বাসন্তী তরু-লতিকাই কুসুমের সাজ-সজ্জা করিয়াছে। বসন্ত-তরুর এক প্রধান লক্ষণ এই যে, তাহাতে প্ৰথমে কুসুমোদগম হয়, পরে তাহার নূতন পল্লব জন্মে। অন্য ঋতুর তরুতে অগ্ৰে পল্লব, পরে কুসুম জন্মে। বসন্তের এই বিশেষ ধৰ্ম্মে সকল তরুই কুসুম গুচ্ছে সুশোভিত । কিন্তু