পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

а о কালিদাস । কন্যা দেখিয়া, মদনের অবসন্ন হৃদয় পুনরায় আশ্বস্ত হইল। মদন ভাবিলেন যে, এবার পারিব, এমন অস্ত্র যখন সম্মুখে, তখন আর ভাবনা কি ? মদন এবার বাণ-প্ৰয়োগ করিতে বদ্ধপরিকর হইলেন। ও দিকে, তপোবনের বহির্দেশে বসন্ত অবসন্ন দেহে পড়িয়া ছিলেন, তিনিও পুনরায় সন্নদ্ধ হইলেন। নন্দিকেশ্বরের তর্জনী কম্পনের পর, বসন্তের আর একাকী বিরূপক্ষের সম্মুখীন হইবার সাহস হইতেছিল না। এতক্ষণে তাঁহার সুযোগ উপস্থিত হইল। তিনি ভাবিলেন যে, এবার আর একাকী যাইব না, কিংবা পূৰ্ববত, নন্দী বা মহাদেবের সাক্ষাত প্রত্যক্ষীভূত হইব না, এবার পরোক্ষভাবে তাঁহাদের সম্মুখীন হইব। তাই সেই কন্যা-কুল-লালাম-রূপিণী শৈলেন্দ্র-নন্দিনীকে পাইয়া, বসন্ত তঁহারই দেহ আশ্রয় করিয়া, পুনরায় শিব-সমীপে উপনীত হইলেন। এই তাৎপৰ্যটুকু বুঝাইবার জন্য কবিশ্রেষ্ঠ কালিদাস, নানা-বিধ বসন্ত-পুষ্পভরণে সজ্জিত করিয়া, পাৰ্বতীকে ধ্যানস্থ ত্ৰিলোচনের সম্মুখবৰ্ত্তিনী করিলেন। কৃশাঙ্গী গৌরী আতাম্র নব-বসন্ত-পল্লবাদির সজ্জার ভারে, যেন ঈষদবনত-দেহে শস্তুর সম্মুখীন হইলেন। মদন, হর-সমাধি-ভঙ্গের সেই অকস্মাদুপানত শাণিত অস্ত্রের দিকে অনিমেষ-নিয়নে নিরীক্ষণ করিয়া রহিলেন । রতির পতি । বলিয়া কন্দপ বড়ই গর্বিত। যখন রতিকে সঙ্গে আনেন, তখন হয়ত ভাবিয়াছিলেন যে, আমার রতি যখন স্বয়ং যাইতেছেন, তখন আর ভাবনা কি ? অন্য কোন বিশেষ অস্ত্রের বোধ হয় আ