পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে পঙ্কজিনী কোন কথা কহিতে পারিল না । দেবেনবাবুব কথাগুলা তাহাব মরমে প্রবেশ করিয়া, হৃদয়ের ভিতর যেন একটা ভক্তি সমূদ্র সৃষ্টি করিতেছিল। দেবেনবাব আবার কিছুক্ষণ নীবন থাকিয় পঙ্কজনীর মৰ্থেব দিকে ফিবিয়া সহসা জিজ্ঞাস কবিলেন, “ম এ লিয়েতে তোমার মত আছে তো ?” পঙ্কজনী এতক্ষণে কথা কহিল, দেবেনবাবু যাহা জিজ্ঞাস কবিলেন, সে তাহাব কোন উলুর দিল না ! অতি ক্ষীণ কণ্ঠে ললিল, “জ্যাঠামশাই আপনাকে ছেড়ে আমি কেমন ক’বে থাকবে। আপনার জন্তে আমার বড় মন কেমন কৰ্ব্বে ।” দেবেনলালুধ নয়নপল্লল ছল ছল কলিয়া উঠিল,—তিনি অতি গাঢ় স্বরে বলিলেন, “কিন্তু আগবতে তোমার বাখতে পারিনি মা । প্রজাপতির পাথা নড়েছে, এখন তোমাকে তোমার স্বামীল বৰ্বে প্রতিষ্ঠা করাষ্ট অামাব সৰ্ব্বপ্রধান কত্তব্য স্বামীষ্ট স্ত্রীলোকেব পুথিবীতে সাক্ষণং প্রত্যক্ষ দেবতা । তোমাব দেব পূজাব সময় উপস্থিত,—তাব জন্যে তুমি মা প্রস্তুত হও।” পঙ্কজিনী নীরব । সে আলেগ পরিপূণ হৃদয় লক্টর চুপ করিয়া দেবেনবাবব সম্মুখে দাড়াইয়া রহিল। তাহার অন্তরের ভিতর যে তবঙ্গ বহিতেছিল, সে ভাবিয়ছিল অবিচলিত পৈর্য্যেব * দ্বাব। সে তাহা প্রাণের ভিতবেই চাপিয় রাখিবে,—কিন্তু আর বুঝি তাহা ঠেকাইয়া রাখা যায় না । সে প্রাণটাকে দৃঢ় করিবাব জন্ত তাহাব সমস্ত শক্তি নিয়োজিত কবিল। দেবেনবাবুও স্তব্ধ হইয়। নিজের অন্তঃকরণের মধ্যে নিজেকে গভীরভাবে নিহিত ৩ ৪ }